দেশ বিদেশ
উত্তেজনা: ১৪৪ ধারা জারি
বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কালভার্ট ভাঙার অভিযোগ
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
১৬ মে ২০২৫, শুক্রবারসিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিমালিকানাধীন কালভার্ট ভাঙার অভিযোগ করেছেন অলংকারী গ্রামের সুলতান মিয়া। জোরপূর্বক কালভার্ট ভাঙার অভিযোগ গত মঙ্গলবার সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। মামলায় চেয়ারম্যান ছাড়াও সুলতান মিয়ার প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মুরব্বি তৈমুছ আলী, আইয়ূব আলী ও আব্দুল খালিককেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন। একই সঙ্গে সরজমিন তদন্তপূর্বক আগামী ৩রা জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন এবং চেয়ারম্যান পক্ষকে কারণ দর্শাতে এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেন। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনাথ থানার ওসিকেও নির্দেশনা দেন। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে গত বুধবার দুপুরে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে উভয়পক্ষকে নোটিশ দেন। এ নিয়ে অলংকারী গ্রামের সুলতান মিয়া পক্ষ এবং একই গ্রামের তৈমুছ আলী পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, অলংকারী গ্রামের সুলতান মিয়া ও তৈমুছ আলী পক্ষ তারা একে অপরের প্রতিবেশী। উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি তৈমুছ আলী পক্ষ সুলতান মিয়া পক্ষকে না জানিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বাড়ির পাশের শতবছরের পুরনো ও সরু কালভার্টটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেন। জোরপূর্বক কালভার্টটি ভাঙা হলে সুলতান মিয়া পক্ষ এতে বাধা দেয়। এ বিষয়ে সুলতান মিয়া বলেন, পৌদনাপুর মৌজার ৬৫নং জেএল ৯৮৭নং দাগের জায়গাটি তাদের ব্যক্তিমালিকানা। ওই জায়গার উপর শতবছর পূর্বে তারাই একটি কালভার্ট নির্মাণ করেছিলেন। সম্প্রতি তাদের প্রতিপক্ষ তৈমুছ আলীদের কথায় চেয়ারমান ব্যক্তিগতভাবে লাভমান হয়ে গত ৮ই মে সকালে জোরপূর্বক ওই কালভার্টটি ভেঙে দেন। এর আগে রাতের অন্ধকারেও কালভার্টটি ভাঙা হয়।
তবে অভিযুক্ত মুরব্বি তৈমুছ আলী, আইয়ূব আলী ও আব্দুল খালিক বলেন, সুলতান মিয়া পক্ষ নয়, নিজেদের জায়গায় কালভার্টটি শতবছর আগে তাদের পূর্বপুরুষেরা নির্মাণ করেছিলেন। গ্রামবাসীসহ সকলের চলাচলের সুবিধার্থে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বড় কালভার্ট নির্মাণের জন্যে ছোট কালভার্টটি ভাঙা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কালভার্টটি ভেঙেছেন জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন বলেন, অলংকারী গ্রামের তৈমুছ আলী পক্ষের অনুরোধে গ্রামবাসীসহ সকলের চলাচলের জন্য এডিপি’র ৩ লাখ টাকা বরাদ্দে বড় কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য ছোট কালভার্টটি ভাঙা হয়েছে। আর সুলতান মিয়া পক্ষ না বুঝে সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন এবং ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছেন। বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আদালতের নির্দেশে অলংকারী গ্রামের ভাঙা কালভার্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে