ঢাকা, ১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

ঈদযাত্রার কোচ মেরামতে ব্যস্ততা সৈয়দপুর রেল কারখানায়

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
১৮ মে ২০২৫, রবিবার
mzamin

ঈদযাত্রার কোচ মেরামতে ব্যস্ত দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা। ঈদের আগেই রেলবহরে সংযুক্ত করতে মেরামতে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। যাত্রীদের নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিতে এ ব্যস্ততা। এসব মেরামত করা কোচ আন্তঃনগর ট্রেনসহ সংযুক্ত করা হবে বিশেষ স্পেশাল ট্রেনে। এ তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর। জানা যায়, ১৮৭০ সালে ১১০ একর জমিতে সৈয়দপুর রেল কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ কারখানার ২৮টি শপে কোচ মেরামত করা হয়। এ ছাড়া ক্যারেজ, ওয়াগন ও লোকোমোটিভের ১ হাজার ২০০ রকমের খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি হয় এ কারখানায়। অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামতে অল্পসংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করে চলেছেন। ফলে বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। সূত্রটি আরও বলেছে, বর্তমানে কারখানাটিতে কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীর পদ ২ হাজার ৮৫৯টি। এরমধ্যে আছেন ৭১৬ জন। অর্থাৎ ২ হাজার ১৪৩টি পদই শূন্য। জনবল সংকটের কারণে কারখানায় ক্যারেজ মেরামতের প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন তিনটি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও হচ্ছে দু’টি করে কোচ। ২৮টি শপে ৭৪০টি মেশিন পরিচালনায় নেই প্রয়োজনীয় দক্ষ শ্রমিক। এদিকে কারখানায় নেই পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দও। এতে চাহিদা ও সময়মতো কাঁচামালের সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। অল্পসংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারী ঈদযাত্রার কোচ মেরামতে কাজ করে চলেছেন। জনবল সংকটে চারজনের কাজ করছেন একজন শ্রমিক। প্রতি মাসে ৩২টি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ঈদে সেই সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়। এবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ৪৫ কর্মদিবসে ১০০টি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। এরমধ্যে ৬০টি কোচ ইতিমধ্যে মেরামত শেষ করে রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলো এরমধ্যে মেরামত শেষ করে রেলবহরে যুক্ত করা হবে বলে সূত্রটি জানায়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপের ইনচার্জ (এসএসএই) মমিনুল ইসলাম জানান, এ কারখানায় মিটার গেজ (ছোট) ও ব্রড গেজ (বড়) উভয় লাইনের কোচ ওয়াগন মেরামত হয়ে থাকে। বর্তমানে কারখানায় ঈদযাত্রার কোচ মেরামত কাজ চলছে পুরোদমে। এসব মেরামত শেষে আন্তঃনগর ট্রেনসহ বিশেষ ট্রেনে সংযোজন করা হবে। যাতে যাত্রীরা নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারেন। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, সর্বশেষ ২০২৩ সালে ২৮৯ জনকে খালাসি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরপরও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরে শ্রমিকরা অতিরিক্ত সময় কাজ করে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন। জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 
শূন্যপদগুলো পূরণ হলে এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে আবার এ কারখানা কর্মমুখর হবে। 
ঈদের কোচ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে কারখানার শ্রমিকরা কাজ করছেন। আশাকরি ঈদের আগেই সব কোচ রেলবহরে সংযুক্ত করা সম্ভব হবে। এর ফলে এবার ঈদে যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status