বাংলারজমিন
পরকীয়া
২২ দিনের শিশুকে হত্যা করে থানায় জিডি করলো মা, গ্রেপ্তার ৪
মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
৩০ মে ২০২৫, শুক্রবারপরকীয়ার জেরে ২২ দিনের শিশুকে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে গুম করে মা ও পরকীয়া প্রেমিক। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ চিথলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পোড়াদহ চিথলিয়া এলাকার পরকীয়া প্রেমিক শেরেবুল ইসলাম (২৮), মা মিতা খাতুন (২৫), চাচা সাইদুল ইসলাম (৫০) ও ভাবি চাঁদনী খাতুন (৩৫)। জানা যায়, গত ৯ মাস আগে জেলার খলিষাকুণ্ডি এলাকায় রাজু নামের এক ছেলের সঙ্গে মিতা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের আট মাস পরে মিতা জান্নাতি (২২ দিন) জন্ম নেয়। ছোট বাচ্চাটি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে-মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। যার পরিপ্রেক্ষিতে মিতা ছোট শিশু বাচ্চা নিয়ে মায়ের বাড়ি চিথলিয়ায় চলে আসে। বাচ্চাটির পিতা ‘কে’ নিয়ে মিতার পরকীয়া প্রেমিক চাচাতো ভাই শেরেবুলের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়। পরবর্তীতে মিতা ও শেরেবুল বাচ্চাটিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ ঘটনায় শেরেবুলের পিতা ও তার ভাবি শিশু মেয়েটিকে হত্যায় সহায়তা করে। পরবর্তীতে গত ২৫ তারিখ মেয়েটিকে হত্যা করে তারা পার্শ্ববর্তী বরিশাল খালে ফেলে দেয়। তারা অপপ্রচার করতে থাকে খলিসাকুণ্ডি থেকে মিতার স্বামী রাজু বাচ্চাটি চুরি করে নিয়ে গেছে। ২৫শে মে তারিখ রাতে শিশুটির মা মিতা খাতুন মিরপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। তাৎক্ষণিক মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। গত কয়েকদিন ধরে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত ও বাচ্চার মা’কে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদে সর্বশেষ ২৯শে মে সকালে তার মা ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করে। বৃহস্পতিবার মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল আজিজ ও মামলা তদন্তকারী অফিসার সাইফুল ইসলাম সঙ্গীও ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশুটির মা মিতা খাতুনের স্বীকারোক্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমরা জিকে খাল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করি। আসামিদের আগামীকাল কোর্টে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য নেয়া হবে।