দেশ বিদেশ
তবে কি ইরানের নিরাপত্তা সংস্থার ভেতরে ঢুকে পড়েছে মোসাদ?
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ জুন ২০২৫, শনিবারইসরাইলের হামলায় ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি সহ সেনাপ্রধান, ৬ জন পরমাণু বিষয়ক শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এর ফলে সারাবিশ্বে প্রশ্ন উঠেছে ইরানের যুদ্ধ প্রস্তুতির সক্ষমতা নিয়ে, তাদের গোয়েন্দা সক্ষমতা নিয়ে। সর্বোপরি প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে। ইসরাইল কার্যত যে হামলা করেছে, তার কাছে ইরান যেন আত্মসমর্পণ করেছে বলেই মনে হয়। তা নাহলে কেন একসঙ্গে শীর্ষ সব কর্মকর্তা নিহত হবেন! কীভাবে তাদের অবস্থান ইসরাইল নিশ্চিত করেছে? হামলার সময় তারা কোথায় ছিলেন? তাদের অবস্থান সম্পর্কে কে ইসরাইলকে তথ্য দিয়েছে? এমন অসংখ্য জিজ্ঞাসা এখন জনে জনে। এর জবাবে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, আইআরজিসি’র বিমান বাহিনীর শীর্ষ নেতাদের নির্মূল করা হয়েছে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আইআরজিসি’র বিমান বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা একটি আন্ডারগ্রাউন্ড সেন্টারে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছিলেন। সেখানে সমবেত হন তারা। এ সময়েই ইসরাইল সেখানে হামলা চালায়। তার এ তথ্য এটাই বলে দেয় যে, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের বিস্তার জালের মতো কতো গভীরে। নিশ্চয়ই ওই বৈঠক সম্পর্কে ইসরাইলের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। যদি তা-ই না হবে, তাহলে এই তথ্য তাদেরকে কে দিয়েছে? স্বাভাবিক সমীকরণ বলে দেয়- ইরানের ওইসব নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যেই লুকিয়ে আছে মোসাদের এজেন্ট। শীর্ষ কর্মকর্তারা কোথায় আন্ডারগ্রাউন্ডে মিটিং করছেন, সেই তথ্য সাধারণ কোনো সেনাসদস্য বা কর্মকর্তার জানার কথা নয়। শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকার কথা। তার অর্থ কি দাঁড়ায়? তাদের খুব গভীরেই মোসাদের উপস্থিতি আছে? ইসরাইলের আরেক রিপোর্ট শিরদাঁড়া আরও হিম করে দেয়। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরানের ভেতরেই আছে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গোপন ‘এক্সপ্লোসিভ ড্রোন’ ঘাঁটি। ইসরাইল যখন ইরানে হামলা চালায়, তখন সেখান থেকে যোগ দেয় ওই ঘাঁটির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। এই সর্বনাশ ইরানের। তারা কোনোভাবেই কি এই ঘাঁটি সম্পর্কে জানে না? তাহলে কি গোয়েন্দাগিরি করলো তারা?