দেশ বিদেশ
ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যা
৩ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস
স্টাফ রিপোর্টার
৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবারইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে রায়ে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ চারজন খালাস পেয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগরের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া তিন আসামি হলেন- তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল ও মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল। খালাস পাওয়া চারজন হলেন- বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম, তার ভাই এম এ মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল ওরফে ভাঙাড়ি সোহেল। কাইয়ুম ও মতিনের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য তার মক্কেলদের আসামি করা হয়েছিল। আজ তারা আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন। রায় ঘোষণার আগে বিচারক বলেন, এটা একটা নিয়মিত মামলা। আমাদের কাছে এই মামলাটা ৮/১০টা মামলারই মতো। তবে ভিকটিম ইতালির নাগরিক। এ কারণে মামলাটা একটা স্পেশাল গুরুত্ব বহন করে। এরপর তিন আসামিকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের সাজার রায় দেয় আদালত। খালাস পাওয়া চার আসামির বিষয়ে রায়ে বলা হয়, শাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, হত্যাকাণ্ডের সময় তার মোটরসাইকেল ব্যবহৃত হয়েছে। তবে হত্যার পরিকল্পনায় তার নাম জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত নয়। ভাঙাড়ি সোহেল মামলার শুরু থেকে পলাতক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডে তার অস্ত্রই ব্যবহৃত হয়। অপর দুই আসামি, এম এ কাইয়ুম এবং আবদুল মতিন আপন দুই ভাই। তাদের নাম আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এখানে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচিত করেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
২০১৫ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে জগিং করার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৫১ বছর বয়সী তাবেলা নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশনের প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন। লেখক, প্রকাশক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর জঙ্গি হামলার পর ওই ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোড়ন তোলে।