বিশ্বজমিন
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে আরও সময়ের প্রয়োজন: ইসরাইল
মানবজমিন ডেস্ক
(৭ ঘন্টা আগে) ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:০৯ অপরাহ্ন

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আরও সময় প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা। রোববার কাতারের দোহায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে। এরপর থেকে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের চাপ আরও তীব্র হয়েছে। এদিকে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্প এর আগে বলেন, এই সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর। উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনায় যোগ দিতে এ সপ্তাহে দোহায় যাবেন উইটকফ। এদিকে হামাস দাবি করেছে, জিম্মি মুক্তির আগে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। ইসরাইলের তরফে বলা হয়েছে, সব জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার আগ পর্যন্ত তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না। ধারণা করা হচ্ছে, ৫০ জন জিম্মির মধ্যে ২০ জন এখনও জীবিত আছেন। ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে আরও কিছুদিন সময় প্রয়োজন হতে পারে। অন্য এক ইসরাইলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্য জী এলকিন বলেছেন, যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আছে। আরও বলেছেন, হামাস কয়েকটি বিষয়ে পরিবর্তন চায় যা করা সহজ নয়। তবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়। হামাস জিম্মি করে ২৫০ জনকে। প্রতিশোধ নিতে একই দিন গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইল। এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৫৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। এতে উপত্যকাটিতে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। মোহাম্মদ জোন্দিয়া নামের এক ফিলিস্তিনি বলেছেন, আমরা আশা করি যুদ্ধবিরতি হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা বন্ধ হবে।
সূত্র:রয়টার্স