দেশ বিদেশ
হাজী সেলিমের রিমান্ড শেষ না করেই পাঠানো হলো কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারঅসুস্থ থাকায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড শেষ না করে দুই দিনের মাথায় আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২রা সেপ্টেম্বর একই আদালত লালবাগ থানার আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় হাজী সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড দেন। রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া উল্লেখ করেন, আসামি হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতের আদেশ মোতাবেক পুলিশ হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে সতর্কতার সঙ্গে মামলার ঘটনার বিষয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গোপন রেখে যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। আসামি কথা বলতে পারে না এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। হাজী সেলিমের শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং কথা বলতে না পারায় তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য তাকে রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব নয়। তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে তাকে আপাতত আর জিজ্ঞাসাবাদ না করে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিকে ভবিষ্যতে আরও রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বিধায় মামলার তদন্তকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।
গত ১লা সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বংশালের একটি এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে আটক করা হয়। এরপর ২রা সেপ্টেম্বর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ই জুলাই লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯শে আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।
কিছু লিখতে ভয় হয়।