দেশ বিদেশ
হ্যাকারের থাবা সাবধান, লুটে নিলো ৩০ কোটি ডলার
মানবজমিন ডেস্ক
১১ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
চারদিকে হ্যাকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এর আগে বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরি করে হ্যাকাররা। তারা এখানেই থেমে থাকেনি। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় থাকা হ্যাকাররা অব্যাহতভাবে নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হ্যাক করে লুটে নিচ্ছে অর্থ। এর বেশির ভাগের সঙ্গে জড়িত উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। দেশটির শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে তারা কাজ করে বলে মনে করা হয়। এ যাবৎ তারা রেকর্ড ১৫০ কোটি ডলার হ্যাক করেছে। তার মধ্যে কমপক্ষে ৩০ কোটি ডলার ক্যাশ করতে সক্ষম হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, দু’সপ্তাহ আগে ক্রিপ্টো বিনিময় ব্যবস্থা বাইবিট হ্যাক করে। সেখান থেকে বিপুল অংশের ডিজিটাল টোকেন তাদের হাতে চলে যায়। তখন থেকেই তাদেরকে ধরতে ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছে। তারা যেন এই ডিজিটাল টোকেনকে ক্যাশ করতে না পারে তার চেষ্টা চলছিল। তার মধ্যেই বিবিসি জানালো, এরই মধ্যে ৩০ কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে এই হ্যাকার গ্রুপ। এরা পরিচিত ল্যাজারাস গ্রুপ নামে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কুখ্যাত এই হ্যাকার গ্রুপ তখন থেকেই দিনে প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাজ করছিল ডিজিটাল টোকেনকে ক্যাশে পরিণত করে তা উত্তর কোরিয়ার শাসকদের সামরিক উন্নয়নে ব্যয় করার জন্য। ক্রিপ্টো বিষয়ক অনুসন্ধানকারী সংস্থা ইলিপটিক-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. টম রবিনসন বলেন, হ্যাকারদের কাছে প্রতিটি মিনিট বড় বিষয়। কারণ, তারা চেষ্টা করছিল টোকেনগুলোকে ক্যাশে পরিণত করতে। ক্রিপ্টো কারেন্সির সঙ্গে জড়িত সব ক্রিমিনালের মধ্যে উত্তর কোরিয়া সবচেয়ে ভয়াবহ। তার ভাষায়, আমার মনে হয় স্বয়ংক্রিয় হাতিয়ার বা যন্ত্র ব্যবহার করে মানুষে ভর্তি একটি রুমে তারা কাজ করছে। তাদের আছে অনেক বছরের অভিজ্ঞতা। সারা দিনে তারা মাত্র দু’এক ঘণ্টা ব্রেক নেয়। এর বাইরে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে। সম্ভবত ক্রিপ্টো কারেন্সিকে ক্যাশে ব্যবহারের জন্য শিফটিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। বাইবিটের বিষয়ে ইলিপটিকের বিশ্লেষণ বলছে, যে ডিজিটাল টোকেন হ্যাকিং করে নিয়েছে হ্যাকাররা, তার মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এখন ‘অন্ধকারে’ চলে গেছে। এর মানে হলো ওই অর্থ আর উদ্ধার করা সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডজন ডজন হ্যাকের ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তারা বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করা হয় এভাবে। ২১শে ফেব্রুয়ারি বাইবিটের একটি সরবরাহকারীকে গোপনে হ্যাক হরে। চার লাখ এক হাজার ইথারিয়াম ক্রিপ্টো স্থানান্তরকে তারা ডিজিটাল ব্যবস্থায় গন্তব্য বদলে দেয়। ফলে অর্থ চলে যায় হ্যাকারদের নাগালে।