দেশ বিদেশ
গাজায় হামলা গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার
২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবারফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের নৃশংস ও নির্মম গণহত্যা এবং বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বাড্ডায় উত্তর বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার সামনের সড়কে এই বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল-উত্তর বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রামপুরা ব্রিজে গিয়ে সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। এতে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে জায়নবাদী, সন্ত্রাসী অবৈধ রাষ্ট্র শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বের সাড়ে ৭ শ’ কোটি মানুষের কলিজায় আঘাত করেছে। এ হামলার মাধ্যমে তারা শুধু শান্তিচুক্তি ভঙ্গই করেনি। বরং যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু এসব করে দখলদার আগ্রাসী বাহিনীর শেষ রক্ষা হবে না। অচিরেই ইসলাম ও মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হবে। তিনি আরও বলেন, গত প্রায় ১৬ বছর পতিত আওয়ামী-বাকশালী ও ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশে অপশাসন, দুঃশাসন ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে।
তারা ইসরাইল থেকে অস্ত্র আমদানি করে জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের ওপর ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে। কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, শহীদ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও শহীদ মীর কাসেম আলীসহ জাতীয় নেতাদের শুধু হত্যা করা হয়নি। বরং অন্য শীর্ষ নেতৃত্বকেও তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা ও বিচারকরা পালিয়ে গেলেও আমাদের নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে অবরুদ্ধ রয়েছেন। টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে এটিএম আজহারসহ আলেম-উলামাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
রেজাউল করিম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়নি। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে এখনো পতিত স্বৈরাচারের প্রতিভূরা সক্রিয় রয়েছে। তাই দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের প্রভাবমুক্ত করতে সবার আগে ফ্যাসিবাদী ও তাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুনিদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না। আর প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরই হতে হবে নির্বাচন। সংস্কার, বিচার ও আগে স্থানীয় নির্বাচন ছাড়া জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না। যারা সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন চাচ্ছেন তারা জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দিন, প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দীন, মহানগর পশ্চিম শিবিরের সভাপতি সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।