ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

দেশ বিদেশ

‘আগস্টের আগেই ডাকসু নির্বাচন’

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে ঠাণ্ডা হাওয়া ছিল ক্যাম্পাসে। গত ১৫ই এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু’র পথনকশা প্রদান করলে ফের সরগরম হয় ডাকসু’র আলোচনা। ক্যান্টিনে খাবারের ফাঁকে কিংবা চায়ের কাপে ধোঁয়া ওঠা আলাপে একটাই প্রশ্ন, ‘ডাকসু কবে’?  এদিকে পবিত্র ঈদুল আযহার পর এবং আগস্টের আগেই ডাকসু নির্বাচন হতে পারে বলে জানা গেছে। 
পথনকশা অনুসারে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা। মূলত নির্বাচন কমিশনারই ডাকসু’র তারিখ, আচরণবিধিসহ বাকি আয়োজন সম্পন্ন করে থাকেন। তবে কাকে অভ্যুত্থান পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হবে  তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে প্রশাসন। যদিও পছন্দে আছে বেশ কিছু নাম তবু সতর্কতামূলক সময়ক্ষেপণ করছে ঢাবি প্রশাসন। ডাকসু’র গঠনতন্ত্র, আচরণবিধি ও পরামর্শ প্রদান বিষয়ক কমিটির সুপারিশও সিন্ডিকেটের অনুমোদন পেয়েছে।   
ছাত্র সংগঠনগুলো ও সম্ভাব্য ডাকসু প্রার্থীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বাড়তি সক্রিয়তা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে কেবল ৮ বার। সবশেষ ডাকসু হয় ২০১৯ সালে। যদিও তা ছিল ব্যাপক বিতর্কিত । 
৫ই আগস্টের পর ক্যাম্পাস রাজনীতির সমীকরণ ভিন্ন। নেই প্রবল প্রতাপশালী ফ্যাসিস্ট ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে সক্রিয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। প্রায় ১১ বছর পর প্রকাশ্যে ইসলামী ছাত্রশিবির, আছে অভ্যুত্থানের নেতাদের দল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। একমাত্র কোনো পরিবর্তন নেই বাম সংগঠনগুলোর। ক্যাম্পাস রাজনীতির এসব অংশীজনের ডাকসু কেন্দ্রিক তৎপরতা বাড়ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। 
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার ডাকসু নির্বাচনের তারিখ পেছানোর যুক্তি হিসেবে প্রশাসনের ওপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বের বিষয়টি সামনে আনছে সংশ্লিষ্টরা। একুশে ফেব্রুয়ারি, বইমেলা, ভর্তি পরীক্ষা, পহেলা বৈশাখসহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে প্রশাসনকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। তবে পবিত্র ঈদুল আযহার পর এবং আগস্ট এর আগেই ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। 
এদিকে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত ‘পরামর্শক কমিটির’ করা এক জরিপে শিক্ষার্থীরা মতামত দেন। জরিপে শিক্ষার্থীরা জানান, চলতি বছরের জুনের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করলে সর্বাধিক শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য হবে। এই মতামত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর।
এ বিষয়ে প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সায়মা হক বিদিশা জানান, আমাদের সবগুলো কমিটির কাজ শেষ। প্রতিবেদন দাখিলের পর এগুলো সিন্ডিকেটেও পাশ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা চিন্তা করছি জুন-জুলাই এর সময়টা ডাকসু আয়োজন করতে পারবো, যেহেতু মে মাসের মাঝামাঝি সময় আমাদের নির্বাচন কমিশনার ঠিক করার একটা ব্যাস্ততা আছে। 
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান জানান, নির্বাচন দিতে আমরা বদ্ধপরিকর কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিজেও তো ডাকসু‘র একটি অংশ। নিজের নির্বাচনের আয়োজন তো নিজে করা যায় না, এটা আইনত ঠিক না। তাই আমরা উপযুক্ত একজন নির্বাচন কমিশনার খুঁজছি। কয়েকজনকে আমরা আমাদের পছন্দেও রেখেছি। ইনশাআল্লাহ মে মাসে নির্বাচন কমিশনার আমরা দিতে পারলে তিনিই বাকিটুকু ক্যারি অন করবেন। সতর্কতামূলক সময়ক্ষেপণ করছে ঢাবি প্রশাসন। ডাকসু’র গঠনতন্ত্র, আচরণবিধি ও পরামর্শ প্রদান বিষয়ক কমিটির সুপারিশও সিন্ডিকেটের অনুমোদন পেয়েছে।  

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status