দেশ বিদেশ
প্রতিবন্ধী নাগরিকদের উন্নয়নে ডিআরডাব্লিউ’র ৮ সুপারিশ
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবারবাংলাদেশের প্রতিবন্ধী নাগরিকদের অধিকার, সুরক্ষা, অবহেলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ৮ সুপারিশ করেছে ডিস্যাবিলিটি রাইটস ওয়াচ (ডিআরডাব্লিউ)।
গতকাল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত আকারে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তাদের দাবিগুলো হলো-সমূহ মন্ত্রণালয়-ভিত্তিক অষষড়পধঃরড়হ ড়ভ ইঁংরহবংং এর সংশোধন করা, আইন বাস্তবায়নে কমিটিগুলোকে সচল করা, সিআরপিডি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ, এসডিজি কার্যক্রমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হিস্যা নিশ্চিতকরণ, জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ এবং প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক বাজেট, সরকারি চাকরিতে কোটা, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে পুনর্গঠন করা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া পরিষদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ডিস্যাবিলিটি রাইটস ওয়াচের সভাপতি মনসুর আহমেদ চৌধুরী, সদস্য সচিব খন্দকার জহুরুল আলম, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডা. নাফিসুর রহমান, ডিস্যাবিলিটি রাইটস ওয়াচের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সেন্টার ফর ডিস্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এএইচএম নোমান খান।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ডিস্যাবিলিটি রাইটস ওয়াচের নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষং (ঝউএ) বিশ্বব্যাপী গৃহীত হয়েছে, এবং বাংলাদেশও এই পদযাত্রায় সম্মিলিত হয়েছে। এসডিজি ফ্রেমওয়ার্ক কেবল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধবই নয়, এতে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি লক্ষ্য এবং সূচকও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে খবধারহম হড় ড়হব নবযরহফ মূল লক্ষ্য অনুযায়ী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের বিষয়টি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হলে এসডিজি’র কোনো লক্ষ্যই অর্জন করা সম্ভব হবে না।
এ সময় টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকারের বিষয়টি কল্যাণ বা চ্যারিটি নয়, এটা অধিকার। এ বিষয়ে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। গত ৫৪ বছরে যে পরিবর্তন হয়েছে তা প্রত্যাশিত নয়। সরকারি অর্থায়নে যেসব ভবন, চলাচলের অবকাঠামো হয়েছে তা এখনো প্রতিবন্ধীবান্ধব নয়। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে তা এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রযোজ্য। কারণ, আন্দোলনের চেতনাই ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ।