দেশ বিদেশ
তথ্যপ্রযুক্তি খাত সকলের জন্য নিরাপদ রাখতে চাই- আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ মে ২০২৫, রবিবার
আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই দেখি নারীরা সাইবার বুলিং, হ্যারাসমেন্ট বা ভায়োলেন্সের শিকার হন। আমাদের সরকার এগুলো শুরু থেকে বিবেচনায় নিয়েছে। আমরা চাই, দেশের সাইবার স্পেস তথা তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরাপদ থাকুক নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সকলের জন্য বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী শনিবার পালিত হয় বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরও বলেন, আমাদের দেশে অত্যন্ত সফল একটি সেক্টর হচ্ছে আর?এমজি সেক্টর। যার সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে নারীদের বিপুল অংশগ্রহণ। বর্ধমান সেক্টর হিসেবে আইসিটি সেক্টরে ও নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কোথায় কোথায় প্রতিবন্ধকতা আছে তা চিহ্নিত করে সেভাবেই পলিসি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমরা একটি অভাবনীয় ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। এই রূপান্তর সমাজে সুযোগ তৈরির পাশাপাশি বৈষম্যও তৈরি করছে। ডিজিটাল গভর্নেন্স, ই-লার্নিং, ইন্টারনেট সূচক এসব সূচকে সেবাগ্রহীতার দিক থেকে আমাদের নারীরা পিছিয়ে আছে। পলিসি মেকার হিসেবে নারীদের এই পিছিয়ে থাকার বিষয়টি মোকাবিলা করা আমাদের কর্তব্য। সেইলক্ষ্যে আমাদের চেষ্টাগুলো অব্যাহত রেখেছি। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার নারী-পুরুষের সমতায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিল্পায়ন, নাগরিক জীবন এবং শিক্ষা স্বনির্ভরতা নারীকে ঘরের বাইরে কাজ করার সুযোগ করে দিয়ে প্রশস্ত করেছে দেশের কর্মক্ষেত্র। তিনি বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে কর্মজীবী নারীদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের অনুরোধ করেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, নারীদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি।
সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্স যা মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হয়েছে তাতে সাইবার বুলিংয়ের বিষয় রয়েছে। এআই পলিসিতেও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি আছে। আমরা পরিস্থিতি বিবেচনায় কাজ করছি, যাতে নারীরা বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান (অব.) মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারীসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা এবং টেলিকম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে একটি ন্যাশন ওয়াইড আইএসপি ও অপর এক ডিভিশনাল আইএসপি’র হাতে ই-লাইসেন্স তুলে দিয়ে বিটিআরসি’র ই-লাইসেন্সিং সেবার উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সভা-সেমিনার, বিটিআরসি প্রাঙ্গণে মেলা, প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক ডাক টিকিট অবমুক্তকরণ এবং দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।