দেশ বিদেশ
ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে অনড় ছাত্রদল
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১ জুন ২০২৫, রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ড, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতাসহ একাধিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে অনড় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমনটাই জানায় ছাত্রদল। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস। তিনি বলেন, শহীদ সাম্য হত্যাকাণ্ডের তদন্তকার্যে আমরা প্রচণ্ড ধীরতা লক্ষ্য করেছি। প্রায় ১৩ দিন পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের নেতৃত্বে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয় তাও ছিল অত্যন্ত অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী শহীদ সাম্যকে হত্যা করা হয় হত্যাকারীদের হাতে থাকা একটি ছোট্ট টেজার গানকে কেন্দ্র করে। অথচ ডাক্তারের ভাষ্যমতে, শহীদ সাম্যের উরুতে ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে অত্যন্ত সুচারুভাবে তার ‘ফিমোরাল আর্টারি’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ ধমনী কেটে দেয়া হয়, যার ফলে মাত্র দুই-তিন মিনিটের মধ্যেই অত্যধিক রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়। পরিচয় দেয়ার পরেও একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সুপরিচিত ছাত্রদল নেতাকে এমন একটি তুচ্ছ বিষয়ে আক্রমণ করে অতি পেশাদার উপায়ে হত্যা করার পেছনে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র আছে নাকি নেই- সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনো তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন ডিএমপি কর্তৃপক্ষ। এতে প্রশাসনের অবহেলা প্রসঙ্গে বলা হয়, বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবাসিক হলসমূহে নানান উপায়ে লুকিয়ে থাকা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে অনীহা ও গাফিলতি প্রদর্শন করেছে। এ সময় ডাকসু ও সাম্য হত্যার বিচারের দাবিকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
নিরাপদ ক্যাম্পাস নির্মাণে ব্যর্থ হওয়ায় ভিসি প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে বলা হয়, নিরাপদ ও স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের উপযুক্ত ক্যাম্পাস বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষ করে এই শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তার বিষয়ে দায়িত্বশীল ভিসি এবং প্রক্টর অবিলম্বে পদত্যাগ করে যোগ্যতর ব্যক্তিদেরকে এই গুরুদায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেয়ার এবং নতুন প্রশাসনের হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে একটি নিরাপদ ও সুন্দর শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তোলার যৌক্তিক দাবি আবারো তুলে ধরছি।
সংবাদ সম্মেলনে সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।