উত্তর সিকিমে ভূমিধস, ১৫০০ পর্যটক আটকে পড়েছেন, তিস্তায় বেড়েছে পানি

উত্তর সিকিমে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভূমিধসে প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শনিবার প্রায় ১৫০০ পর্যটক বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়েন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিপজ্জনক আবহাওয়ার কারণে নিখোঁজ ৮ পর্যটককে খুঁজে বের করার তল্লাশি আপাতত স্থগিত রাখা হয়। 

ওদিকে তিস্তায় বেড়েছে পানি। বৃহস্পতিবার রাতে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১১ জন পর্যটক বহনকারী একটি গাড়ি মানগান জেলার লাচেন-লাচুং মহাসড়কের মুনসিথাং এলাকায় প্রায় ১০০০ ফুট নিচে তিস্তা নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় একজনের মৃত্যু, দুইজন আহত এবং আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। 

মানগানের পুলিশ সুপার সোনাম ডেচু ভুটিয়া জানান, লাচেনে ১১৫ জন ও লাচুংয়ে ১৩৫০ জন পর্যটক আটকে রয়েছেন। দুইদিক থেকেই সড়কপথ বন্ধ থাকায় পর্যটকদের হোটেলেই থাকতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে সচল হলে পর্যটকদের সরিয়ে আনা হবে। 

ওদিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নিখোঁজদের তল্লাশি ব্যাহত হচ্ছে। জেলা প্রশাসক অনন্ত জৈন জানিয়েছেন, তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নত হলে তল্লাশি পুনরায় শুরু হবে। উদ্ধারকারীরা চারটি পরিচয়পত্র ও ছয়টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন নদীর ধার থেকে। 

গাড়িতে থাকা ১১ জনের মধ্যে সুয়ম সুপ্রতিম নায়েক ও  সৈরাজ জেনা, উভয়েই ওড়িশার বাসিন্দা। তাদেরকে দুর্ঘটনার রাতে উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে গ্যাংটকের এসটিএনএম হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

চুংথাং সাব-ডিভিশনসহ গোটা জেলার উপর দিয়ে দিনভর ভারী বর্ষণ হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বিচ্ছিন্ন হওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ শনিবার সন্ধ্যায় পুনরুদ্ধার করা হয়। পানীয় পানির সংযোগ রোববারের মধ্যে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের এক কর্মকর্তারা জানান, রোববার উত্তর সিকিম ভ্রমণের জন্য কোনও পর্যটককে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। তবে আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে হোটেলেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।