দেশ বিদেশ
বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট গ্রহণের আদেশ স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ জুন ২০২৫, সোমবারমাসদার হোসেন মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির গেজেট গ্রহণে ২০১৮ সালে দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। শিশির মনির বলেন, প্রথমত ২০১৮ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির গেজেট গ্রহণ করে যে আদেশ দিয়েছিলেন সেটি স্থগিত করা হয়েছে। এখন ওই আদেশের আর কোনো কার্যকারিতা থাকলো না। দ্বিতীয়ত শৃঙ্খলাবিধি বর্তমানে যা আছে তা অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য কার্যকর থাকবে। তৃতীয়ত হাইকোর্ট বিভাগে ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে (বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় সংক্রান্ত) রিট আবেদনের যে শুনানি হচ্ছে, তার আর কোনো বাধা থাকলো না। তিনি আরও বলেন, শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে হাইকোর্টে শুনানির সময় একটা প্রশ্ন উঠেছিল, আপিল বিভাগের একটা আদেশ থাকা অবস্থায় হাইকোর্টে এটার শুনানি করা যাবে কিনা। ফলে আজকের আদেশের মাধ্যমে সেই বাধাটা দূরীভূত হলো। ১৯৯৪ সালে অধস্তন আদালতের বিচারকদের বেতন গ্রেড একধাপ নামিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তৎকালীন জেলা জজ ও জুডিশিয়াল এসোসিয়েশনের মহাসচিব মাসদার হোসেনসহ ২১৮ জন বিচারক। এরপর অনেক বিচারক সে রিটে পক্ষভুক্ত হন। এই রিট শুনানির পর ১৯৯৫ সালের ১৯শে নভেম্বর অধস্তন আদালতের বিচারকদের বেতন গ্রেড নামিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে বিচারকদের বিসিএস ক্যাডারভুক্ত করার বৈধতার প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ৭ই মে রুল যথাযথ ঘোষণা করে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস করার রায় দেন। তবে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সে আপিলের শুনানি শেষে ১৯৯৯ সালের ২রা ডিসেম্বর ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করার চূড়ান্ত রায় দেন আপিল বিভাগ। ২০০৫ সালেও এই রায় বহাল রাখা হয়।