ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৪ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

দেশ বিদেশ

পাকিস্তানের দাবি ভারতের বাণিজ্যিক অবরোধ ব্যর্থ

মানবজমিন ডেস্ক
৩০ জুন ২০২৫, সোমবার

ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পাকিস্তানের বহির্বাণিজ্যে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন শিপিং শিল্পের নেতারা। ২রা মে ভারত এমন একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যার আওতায় পাকিস্তানগামী বা পাকিস্তান থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে তাদের বন্দরে নোঙর করতে বা তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করতে দেয়া হচ্ছিল না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। এতে আরও বলা হয়, এ পদক্ষেপটি ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ আক্রমণাত্মক সামরিক অভিযানের ধারাবাহিকতায় নেয়া হয়। ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা পাকিস্তানের রপ্তানি-আমদানি বন্ধ করে অর্থনীতিতে আঘাত হানার চেষ্টা করলেও, বাস্তবে তাদের সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। শিপিং কোম্পানিগুলো দ্রুত অভিযোজিত হয়ে পাকিস্তান-সম্পর্কিত পণ্যগুলোকে ভারতীয় বন্দর থেকে আলাদা পথে চালান শুরু করে দেয়। ফলে ভারতীয় বন্দরের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পায়। পাকিস্তান শিপস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ তাহির হুসাইন বলেন, মাদার ভেসেলগুলো পাকিস্তানে আসা বন্ধ করেনি। করাচি ও বন্দর কাসিমে এখনো মাদার ভেসেল দেখা যায়। তিনি আরও বলেন, ফিডার ভেসেলগুলো (ছোট আকারের মালবাহী জাহাজ) পাকিস্তানের বর্তমান আমদানি-রপ্তানির চাহিদা পূরণে যথেষ্ট সক্ষম। তারা একসঙ্গে ৬,০০০ থেকে ৮,০০০ কন্টেইনার বহন করতে পারে।
তবে আমদানিকারকরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে পণ্য আসতে ৩০ থেকে ৫০ দিন বেশি সময় লাগছে এবং এর ফলে ফ্রেইট চার্জও বেড়েছে।  করাচি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট জাভেদ বিলওয়ানি বলেন, মাদার ভেসেল না আসায় আমরা এখন ফিডার ভেসেলে নির্ভর করছি, ফলে খরচ বাড়ছে। 
রপ্তানিকারকরাও জানাচ্ছেন, যুদ্ধপরিস্থিতির প্রভাবে শিপিং ও বীমা খরচ বেড়েছে। তবে রপ্তানিতে কোনো বড় ধস দেখা যায়নি। টেক্সটাইল পণ্যের রপ্তানিকারক আমির আজিজ বলেন, শুধু বীমার খরচ বেড়েছে, কিন্তু রপ্তানির পরিমাণে তেমন প্রভাব পড়েনি। 
ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য: আনুষ্ঠানিক বনাম অনানুষ্ঠানিক: ২০১৯ সালের পর থেকে ভারত-পাকিস্তান আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য কার্যত বন্ধ রয়েছে।
২০১৮ সালে যেখানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ছিল ২.৪১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১.২ বিলিয়ন ডলার।
পাকিস্তানের ভারতের কাছে রপ্তানি কমে ৫৪৭.৫ মিলিয়ন ডলার থেকে মাত্র ৪.৮ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
তবে এর বিপরীতে অনানুষ্ঠানিক বা বিকল্প রুটে বাণিজ্য রমরমা। আল জাজিরার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত থেকে পাকিস্তানে প্রতি বছর প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের অনানুষ্ঠানিক পণ্য প্রবাহ হয়- মূলত দুবাই, কলম্বো এবং সিঙ্গাপুর হয়ে।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status