খেলা
৯ ছক্কা হাঁকিয়েও শান্তর রেকর্ড ভাঙতে পারেননি বৈভব
স্পোর্টস ডেস্ক
৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবারইংল্যান্ড সফরে ভারতের যুবাদের তৃতীয় ওয়ানডেতে ফের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বৈভব সূর্যবংশী। ৩১ বলে ৮৬ রানের ইনিংসে এই উদীয়মান তারকা ব্যাটার ফিফটি ছুঁয়েছেন স্রেফ ২০ বলে। ঝড়ো ইনিংসে ৬ চারের সঙ্গে ৯টি ছক্কা হাঁকিয়ে গড়েছেন নতুন রেকর্ডও।
এদিন তিন অঙ্ক ছুঁতে পারলে একটি বিশ্বরেকর্ডও নিজের করে নিতে পারতেন ১৪ বছর ৯৭ দিন বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ২০১৩তে ১৪ বছর ২৪১ দিন বছর বয়সে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান নাজমুল হোসেন শান্ত। বয়সভিত্তিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি এখনও সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরির রেকর্ড। এ ছাড়া এই ফরম্যাটে ভারতীয়দের হয়ে এখনও রেকর্ডটির মালিক মোহাম্মদ সরফরাজ (১৫ বছর ৩৩৮ দিন)। নর্দাম্পটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে বুধবার টসে জিতে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ৪০ ওভারে। নির্ধারিত ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক যুবাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৬৮। ৪ উইকেট আর ৩৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। এদিনই ভারতের হয়ে যুব ওয়ানডেতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার কীর্তিটা নিজের করে নেন বৈভব। এই বাঁহাতি ওপেনার ভেঙেছেন মনদীপ সিং ও রাজ বাওয়ার রেকর্ড। ২০০৯-এ হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১৫১ রানের ইনিংসে ৮টি ছক্কা হাঁকান মনদীপ। আর ২০২২-এ যুব ওয়ানডে বিশ্বকাপে উগান্ডার বিপক্ষে অপরাজিত ১৬২ রানের ইনিংসে রাজও হাঁকান ৮টি ছক্কা। স্ট্রাইক রেটের হিসেবেও বৈভব রেকর্ড গড়েছেন একটি। এদিন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭৭.৪১, যা ভারতীয় যুবাদের হয়ে ফিফটি বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলা ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৬তে সর্বোচ্চ ৩২৫ স্ট্রাইক রেটে ৭৮ রান করেন পান্ত। এদিন আরেকটি রেকর্ডের একদম কাছ থেকেই ফেরেন বৈভব। এই ভারতীয় ওপেনার ব্যক্তিগত ফিফটি করেন স্রেফ ২০ বলে। যুব ওয়ানডেতে ভারতীয়দের হয়ে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম। ১৮ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে এই তালিকার সবার উপরে ভারতের মূল দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার ঋষভ পান্ত। ২০১৬তে যুব ওয়ানডে বিশ্বকাপে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন পান্ত। যুব ওয়ানডের ইতিহাসে তখন এটিই ছিল দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। পরে ২০২৪ যুব ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে স্রেফ ১৩ বলে ফিফটি ছুঁয়ে রেকর্ডটি নিজের নামে লেখেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্টিভ স্টলক।