দেশ বিদেশ
বিশ্বব্যাংক, এডিবি, ইউএসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে গভর্নরের বৈঠক
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবারঢাকায় সফররত বিশ্বব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) উচ্চ প্রতিনিধিদল ২.২০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশকে। এরমধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাংকের পলিসিভিত্তিক ঋণ (পিবিএল) ঋণ ৭৫০ মিলিয়ন ডলার এবং এডিবি’র ইনভেস্টমেন্ট ঋণ ১.৫০ বিলিয়ন ডলার। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এসব তথ্য জানান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের পক্ষ থেকে কোনো ঋণ প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলারের একটি অর্থ সহায়তা দিয়েছে। এজন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিও সই করেছে পৃথক এক বৈঠকে। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন ইউএসএআইডি’র সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কর। তিনি বলেছেন, সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এটির আওতায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়া হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আর্থিক ও বাণিজ্য খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগের চুক্তির সঙ্গে আরও ২০০ মিলিনিয়ন ডলারের সহায়তা যোগ করা হয়েছে। এ সময় পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে দেশটির সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত পৃথক বৈঠকে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এই ঋণ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রতিনিধিদলকে দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা রক্ষায় সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত নানা ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।
আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি প্রণয়ন, টাকার সরবরাহ হ্রাস, সুদের হার দফায় দফায় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারভিত্তিক করা এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং ক্রলিং পদ্ধতিতে ডলারের দর নির্ধারণের বিষয়গুলো জানানো হয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, রিজার্ভ সংরক্ষণে বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসরণ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) ব্যয়যোগে রিজার্ভের (এনআইআর) তথ্য প্রদানের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতের সংস্কার, সময়সীমা বেঁধে দিয়ে খেলাপি আদায়ের মাধ্যমে তারল্য ঘাটতি দূরীকরণ, পরিদর্শনের মাধ্যমে অনিয়ম উদ্ঘাটন, এবং আর্থিক খাতের সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রণীত রূপরেখার বিষয় তুলে ধরেন গভর্নর।