মত-মতান্তর
‘টম অ্যান্ড জেরি’: অদম্য জেরি’কে হারানো সম্ভব নয়!
সৈয়দ আব্দুল আজিজ
(১ মাস আগে) ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
কার্টুন ছবির আদলে উপমহাদেশে এখন চলছে টম ও জেরি’র বাস্তব যুদ্ধ। ‘টম’ এর অবলম্বন হলো তার দৈহিক ও শারীরিক সামর্থ্য, কুটচাল আর ষড়যন্ত্র। অন্যদিকে দৈহিক আকৃতিতে ক্ষুদ্র হলেও লড়াকু মানসিকতা, বুদ্ধিমত্তা আর বাস্তবধর্মী সিদ্ধান্তের ফলে জেরি সবসময়ই অদম্য ও অপ্রতিরোধ্য। ‘টম’ এর প্রতিটি আক্রমনে মনে হয় ‘জেরি’ বুঝি শেষ! কিন্তু না, ভেংচি কেটে বিজয়ীর বেশে সব কুটচাল ভেঙে বেরিয়ে আসে জেরি। দুর্দান্ত নাটকীয়তা আর রোমাঞ্চে ভরা ‘টম অ্যান্ড জেরি’ কার্টুন ছবিকে দৃশ্যত বিনোদনমূলক মনে হলেও প্রতীকী এ ছবির মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে বৃহৎ ও ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের লড়াই। ১৯৪০ থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে নির্মিত ছবিটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তদপরবর্তী শীতল যুদ্ধকৌশল তুলে ধরা হয়েছে। এ সময়ে শক্তিধর মার্কিন বলয়ের সঙ্গে ছোট ছোট রাষ্ট্রের টিকে থাকার লড়াই চলছিল। তবে বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয় এ ছবিটির নির্মাতা উইলিয়াম হানা (১৯১০-২০০১) এবং জোসেফ বারবেরা (১৯১১-২০০৬) হয়তো কল্পনাও করতে পারেন নাই যে, তাদের ছবি ‘টম অ্যান্ড জেরি’ ২০২৪ সালে এসে ভারত-বাংলাদেশ এর পরিস্থিতিকে এভাবে প্রতিনিধিত্ব করবে! ‘টম’ চরিত্রে ভারত আর ‘জেরি’ চরিত্রে বাংলাদেশকে কল্পনা করলে যেন হুবহু মিলে যায় ছবির ঘটনা প্রবাহ আর চরিত্রগুলো। শক্তিশালী টমকে সাহায্য করার জন্য আছে বুটি (ইঁঃপয) নামের কালো বিড়াল (কালো কোটধারী) আর আছে প্রেয়সী ‘টুডলস’ (ঞড়ড়ফষবং), যার কাজ হচ্ছে সব সময় ‘টম’ এর মন জয় করা আর জেরিকে টমের জালে আটকে ফেলার উস্কানী দেয়া। ভারত-বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি আর টম-জেরি’র কার্টুন ছবির বিষয় যেন একাকার হয়ে গেছে।
টম (ভারত) এর বহুমুখী চরিত্র
‘টম’ প্রতিপক্ষ ‘জেরি’কে শায়েস্তা করতে নানা কৌশল এবং বহুমুখী ফাঁদ তৈরি করে। জটিল সব পরিকল্পনার সঙ্গে নানা সরঞ্জাম দিয়ে জেরিকে আটকে ফেলার ব্যবস্থা করে। এসব কলাকৌশল পূর্ণ করতে টম বিভিন্ন রূপে আবির্ভূত হয়, অভিনয়ের আশ্রয় নেয়; যেমন সংগীতশিল্পী রূপে, জেরি’র বন্ধু রূপে এমনকি কোনো কোনো সময় সে পাহারাদারের (চৌকিদার) ভূমিকা পালন করে। কোনো কোনো সময় জেরির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। আদ্যপান্ত জেরিকে নাকাল করতে টম ধূর্তামীর আশ্রয় নেয়, কিন্তু পদে পদে অদূরদর্শীতা আর অদক্ষতার কারণে পরাস্ত হয়। রাগে ক্ষোভে হতাশা থেকে টম পুনঃ পুনঃ জেরিকে ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত হয়।
অদম্য জেরির রণকৌশল!
কার্টুন ছবিতে টম জেরি’র যুদ্ধ অব্যাহতভাবে চলতে থাকলেও অধিকাংশ পর্বে জেরিকে বিজয়ী আর টমকে পরাজিত হতে দেখা যায়। জেরি টমের পাতানো ফাঁদকে বুদ্ধিমত্তা দিয়ে টমের বিরুদ্ধেই কাজে লাগায়। কিছু কিছু পর্বে টমকে জেরি’র ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে দেখা যায়। টম কোনো কোনো সময় জেরিকে পাকড়াও করতে সক্ষম হলেও শেষ অবধি জেরি পাকড়াও অবস্থা থেকে মুক্ত হয়। এতে টমের বিজয় দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কিছু কিছু পর্বে টম ও জেরি একত্রে শত্রু’র মোকাবিলা করে এবং তাদের মধ্যে লুকানো বন্ধুত্ব প্রকাশ পায়। সামগ্রিকভাবে ‘টম অ্যান্ড জেরি’ কার্টুন ছবি বিশ্লেষণ করলে জেরির আচরণে অদম্য সাহসীকতা, অভিযোজনশীলতা (অফড়ঢ়ঃধনরষরঃু), সৃজনশীলতা (ঈৎবধঃরারঃু), দ্রুত বুদ্ধি খাটিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মানসিকতা, প্রতিপক্ষ টমের অস্থিরতা ও তাড়াহুড়োর দুর্বলতাকে কাজে লাগানো এবং টমের বিরুদ্ধে হাল না ছাড়ার মানসিকতা লক্ষ্য করা যায়।
আগ্রাসী টম (ভারত), আক্রান্ত জেরি (বাংলাদেশ)!
ফিরে আসা যাক ছবির জগৎ থেকে বাস্তবে। প্রতিবেশী দেশ দু’টি ভারত আর বাংলাদেশ (টম এবং জেরি) এখন শীতল যুদ্ধের মুখোমুখি। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চলা অত্যাচার নিষ্পেষণ শেষে বাংলাদেশ এর মুক্তিতে ভারত হারিয়েছে তার নির্ভরযোগ্য দল এবং প্রেয়সীকে (ছবিতে ‘বুটি’ বা কালো বিড়াল এবং ‘টুডলস’)। উন্মত্ত ভারত এখন শুরু করেছে নতুন যুদ্ধ; এসব আগ্রাসী ষড়যন্ত্রের মুখে আক্রান্ত বাংলাদেশ, কীভাবে মোকাবিলা করবে সেটাই দেখার আপেক্ষায়!
বাংলাদেশ: চীর উন্নত মম শির!
বাংলাদেশ শির উঁচু করে দাঁড়িয়েছে সব কালে, সব সময়। ইতিহাস সে কথাই বলে। বৃটিশ শাসনামলের পূর্বে অঞ্চলটি ছিল শস্য-শ্যামলে, ফুল-ফসলে সমৃদ্ধ এক জনপদ। বাণিজ্যে ছিল শক্তভিত্তি। জাহাজ, বস্ত্রশিল্পসহ সমুদ্রবাণিজ্যে ছিল জগৎজোড়া খ্যাতি। বৃটিশদের ১৯০ বছরের লুণ্ঠনে সমৃদ্ধ এ জনপদ পরিণত হয় বিশ্বের দরিদ্রতম অঞ্চলে। বৃটিশদের বদৌলতে কলকাতাকেন্দ্রিক পশ্চিমবঙ্গের জৌলুসের কাছে চাপা পড়ে যায় সমগ্র পূর্ববঙ্গ। সীমাহীন এসব বঞ্চনা আর লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে লড়াই সূচনা করে এ অঞ্চলের মানুষ, বৃটিশ শাসন অবসানে পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্রের যৌক্তিক ভিত্তি তৈরি করে এই অঞ্চলেরই নেতৃবৃন্দ। আবার বঞ্চনা আর বৈষম্যের প্রতিবাদে নিজেদের গড়া পাকিস্তানকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে বিদায় করতেও বিলম্ব করেনি। ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ এই ৭৭ বছরে এদেশের মানুষের ওপর চেপে বসেছে অনেক স্বৈরাচার, কিন্তু বাংলাদেশ কারও বশ্যতা মানে নাই, তাঁবেদারি করে নাই। বুকের রক্তে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এ অঞ্চলের মানুষের শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী লড়াই সংগ্রামের ফল স্বাধীন বাংলাদেশ; কারও দয়ার দান নয়, কারও আজ্ঞাবহ হয়ে থাকার জন্য নয়।
গণঅভূত্থ্যান উত্তর বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ
একবিংশ শতকের চলমান বিশ্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে আরও একটি মহিমান্বিত বিপ্লব ঘটেছে বাংলাদেশে, যা প্রেরণা জোগাবে পৃথিবীর তাবৎ মুক্তিকামী মানুষকে। নিষ্ঠুর এক ফ্যাসিবাদী শাসক এবং আঞ্চলিক পরাশক্তির সকল ষড়যন্ত্রকে তুচ্ছজ্ঞান করে মাত্র ৩৬ দিনের রক্তস্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছে ‘জেন জি’ প্রজন্মের তরুণরা, চিনিয়েছে তাদের জাত; তারা মরতে ভয় পায় না। তাদের কণ্ঠে গর্জে উঠেছিল কবি নজরুলের মহাকালের ডাক, ‘ডাক ওরে ডাক মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে’। ঘাতক অস্ত্রধারীরা বলতে বাধ্য হয়েছিল, ‘একটা গুলিতে একটা মরে, কেউ সরে না’। পৃথিবী কি এমন মৃত্যুঞ্জয়ী তরুণদের দেখেছে কখনো? প্রতিটি তরুণ-তরুণী হয়ে উঠেছিল এক একটি বারুদ, যেন অগ্নিস্ফুলিংগ ঝড়ে পড়ছিল তাদের কণ্ঠে ঠিক যেমনটা কবি আল মাহমুদ ‘উপমহাদেশ: কাশ্মীর’ কবিতায় চিত্রিত করেছিলেন-
‘তবুও কি অদম্য মানুষের স্বাধীনতার গান।
স্বাধীনতা, শব্দটি পারতপক্ষে এখন আর উচ্চার্য নয়।
মনে হয় প্রতিটি মুখই উদগীরণ করতে পারে বুলেট।
প্রতিটি যুবতীর বক্ষসুষমায় লুকিয়ে আছে বিস্ফোরক।
প্রতিটি কিশোরীর ইজ্জতের ওপর এখন রোপিত হচ্ছে স্বাধীনতার পতাকা
অত্যাচারীর প্রতিটি রোমকূপ এখন আজাদীর রক্তে সিক্ত। স্বাধীনতা এখন
হাত বাড়িয়ে দেয়া ইতিহাস কিংবা
ইতিহাস এখন অপেক্ষমান’।
যারা মিথ্যা তথ্যে বাংলাদেশকে দমিয়ে দিতে চায় তাদের জন্য সতর্কবার্তা-
বাংলাদেশ এখন শুধু আঠারো কোটি জনগণের দেশ নয়,
নব-স্বাধীনতার চেতনায় আঠারো কোটি বিপ্লবীর বাংলাদেশ।
কা’র সাধ্য এই উদ্যত বাংলাদেশকে রুখবে?
এটা গণঅভূত্থ্যানের পথ ধরে নতুন এক বিপ্লবের হাতছানি যা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য এক নবজাগরণ। এই বাংলায় কোনো রেনেসাঁ হয় নাই। বাংলাদেশ এখন গণঅভূত্থ্যান পেরিয়ে বিপ্লবের পথ ধরে রেনেসাঁর দিকে এগুচ্ছে।
বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
‘চাষা ভুষাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে কি হবে’ এই অপবাদ শুনেছে আমাদের পূর্বপুরুষরা। জবাব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার ১০৪ বছরের (১৯২১-২০২৪) হিসাবটা মেলানো দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় র্যাকিং দিয়ে সে হিসাব মিলবে না। হাজারের তালিকায়ও ঢাকা বিশ্ব^বিদ্যালয় আসবে না। কিন্তু বিশ্বে এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় বের করুন-
যে বিশ্ববিদ্যালয় একটা জাতি তৈরি করে দিয়েছে!
যে বিশ্ববিদ্যালয় একটা দেশকে স্বাধীন করেছে!
একবার নয় তিনবার! (১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪)।
পৃথিবীতে এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় বের করুন-
যে বিশ্ববিদ্যালয় একটা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করেছে (১৯৫২)।
পৃথিবীতে এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় বের করুন-
যে বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু নয়,
ছয় বছরের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধকে ঘাতকের উদ্যত অস্ত্রের সামনে প্রসারিত বুক চিতিয়ে দাঁড় করাতে পেরেছে।
পৃথিবীতে এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় কি আছে?
যেখানে বিপ্লবোত্তর অরাজকতা আর গণলুণ্ঠন ঠেকিয়ে রক্তের গ্রাফিতিতে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের স্বপ্ন দিয়ে রচনা করেছে জাতির ইশতেহার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বছর বছর নোবেল লরিয়েট পয়দা করে না,
কিন্তু একটা জাতিকে রক্ষা করার জন্য যা করেছে, যা করছে তা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য শুধু বিস্ময়কর নয়, অবিস্মরণীয়।
অনন্য বাংলাদেশ: সম্প্রীতির স্বর্গভূমি
বাংলাদেশ কোনো কালেই তথাকথিত সাম্প্রদায়ীকতা, ধর্মান্ধতাকে প্রশ্রয় দেয়নি। এই বাংলায় সুদূর অতীত থেকে এই একবিংশ শতক অবধি এমন কোনো আন্দোলন সংগ্রাম হয়নি যা ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করেছে। এমনকি বৃটিশবিরোধী ধর্মীয় আন্দোলনগুলোতে সম্পৃক্ত হয়েছিল সকল ধর্মের মানুষ। এখানে নাগরিকত্বের ধারণায় হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান বলে আলাদা কেউ নয়, কারও চেয়ে কেউ পিছে নয়। সবার এক পরিচয়- ‘বাংলাদেশি’। ২০২৪ এর গণঅভূত্থ্যানের কণ্ঠটা লিখিত হয়েছে তরুণ বিপ্লবীদের গ্রাফিতিতে, ‘কোনো ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কোনো কালে যুদ্ধ করিনি’। এই বাংলাদেশের মানুষ আজন্ম ধর্মভীরু, ধর্মান্ধ নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ইসলাম। ইসলাম যতখানি ধর্ম তার চেয়ে বেশি প্রেম ও শান্তির। ইসলামের প্রকৃত ও মূলধারার ধারক ও বাহকগণ কোনোকালেই অন্য ধর্মাবলম্বীদের আঘাত করে নাই, আশ্রয় দিয়েছে। এই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু(?) সকল সম্প্রদায়, সকল উপজাতি, ক্ষুদ্র ণৃ-গোষ্ঠী(?) লোকদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অভয়াশ্রম হচ্ছে এদেশের ধর্মভীরু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান। যারা সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে নিজের থালায় ভাত খাওয়ায়, নিজের সন্তানের ভিন্ন ধর্মের বন্ধুকে একই পাতে খেতে দেয়, নিজের ঘরে আশ্রয় দেয় পরম আতিথেয়তায়। এর কারণ, ইসলাম ধর্মের প্রকৃত অনুসারীরা জানে, পৃথিবীতে কোনো নবী মুসলমানের জন্য আসে নাই, মানুষের জন্য এসেছে। পবিত্র কোরআন মুসলমানের জন্য নাজিল হয় নাই, মানুষের জন্য নাজিল হয়েছে। ইসলামে নাগরিক ধারণায় ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের কোনো ঠাঁই নেই। জুলাই বিপ্লবের রাষ্ট্রনেতা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর উক্তিটি এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য, ‘বাংলাদেশের সকল নাগরিক বাংলাদেশি, এখানে সংখ্যালঘু বলে কারও পরিচয় দেয়ার হীনমন্যতা থাকতে পারে না’।
উহারা চলুক উহাদের পথে, আমাদের পথে আমরা যাই
আমাদের জাতীয় জীবনের সব সংকটে, সকল সড়কে দিশা পাই জাতীয় কবির অমর কাব্যগাথা থেকে-
উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;
আমরা বলিবো সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।
উহারা চাহুক সংকীর্ণতা, পায়রার খোপ, ডোবার ক্লেদ,
আমরা চাহিবো উদার আকাশ, নিত্য আলোক, প্রেম অভেদ।
মোরা বাংলার নব যৌবন, মৃত্যুর সঙ্গে সন্তরী,
উহাদের ভাবি মাছি পিপীলিকা, মারি না ক তাই দয়া করি।
যারা অশান্তি দুর্গতি চাহে, তারা তাই পাবে দেখো রো ভাই,
উহারা চলুক উহাদের পথে, আমাদের পথে আমরা যাই’।
পাদটিকা: এমন বাংলাদেশ অতীতে কেউ দেখেনি! তিন শক্তিতে বলীয়ান আজকের অনন্য বাংলাদেশ-
এক-এমন একজন নেতা, যিনি ঐক্যবদ্ধ করেছেন সমগ্র জাতিকে, চলমান বিশ্বে তিনি অবিসংবাদিত, অনন্য উচ্চতায় তিনি সম্মানিত। কোনো পংকিল অপবাদে তাকে বিভ্রান্ত করা যাবে না,
দুই-এমন রাজনৈতিক ঐক্য একাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশ দেখেনি। যখন ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই এ সম্পৃক্ত সকলে ছোটখাটো বিভেদ ভুলে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকার দৃঢ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে,
তিন-ধর্মীয় চেতনায় এমন ঐক্যবদ্ধ জাতি বাংলাদেশ কখনো দেখেনি, যখন শত কষ্টে, নানা উস্কানীর মুখে, বিদেশি মিডিয়ার অপপ্রচারের জবাবে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মগুরুগণ এককাতারে দাঁড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ মুষ্ঠিতে ফ্যাসিবাদের পৃষ্টপোষক হায়েনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বলছে, ‘তোমরা যত অপপ্রচার চালাও না কেন, আমরা বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিতে আছি’।
লেখক- প্রফেসর, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস। ই-মেইল- [email protected]
অনন্য অসাধারন অদম্য অতিসুন্দর অকল্পনীয় অভাবনীয় অভিব্যাক্তি৷
যুগোপযোগী, অসাধারণ।
অসাধারণ লেখা
জেরির ভিতরে লুকিয়ে আছে টমের পুশ করা ভাইরাস তাইতো জেরি বার বার দুর্বল হয়ে যায়
আশা জাগানিয়া আপনার এই চমৎকার লেখাটির জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, স্যার!
চমৎকার লেখা। সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক এ লেখাটি আমাদের চিন্তার অনেক দিক উন্মোচিত করবে। জাতির বিবেক সজাগ হবে। নাগরিক সমাজ সচেতন হবে। গড়ে উঠবে একটি চিন্তাশীল বাস্তবমুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আগামীতে এরকম আরো লেখা আমাদের প্রাপ্তিতে সাহস যোগাবে। ধন্যবাদ মানব জমিন ও সৈয়দ আবদুল আজিজ উভয়কে।
অসাধারণ উপলব্ধি! অসাধারণ লেখনী।
অসাধারণ !! অসাধারণ!!
অসাধারণ
সময়োপযোগী এবং যুগান্তকারী বিশ্লেষণমূলক লেখা, এককথায় চমৎকার।
ভারতকে আওয়ামী লীগ নয় বরং বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গড়তে হবে
অসাধারণ লেখা স্যার!
অসাধারণ, চমৎকার, অতুলনীয়।। টিকে থাক বাংলাদেশ সাম্য, ঐক্য, বন্ধুত্ব, ভাতৃত্ব, অদমনীয় তেজদীপ্ত শক্তি আর শান্তির আধার নিয়ে।
Na
সত্যিই টাকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
Very very nice..
অসাধারণ প্রফ আব্দুল আজিজ - টিকে থাক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ.......