দেশ বিদেশ
পুলিশের পাশাপাশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পর্যায়েও নিরাপত্তা, সচেতনতাবোধ তৈরি হতে হবে- ডিএমপি কমিশনার
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবারঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়েও নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি হতে হবে। গতকাল সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা, ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায় ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেকোনো আইনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটা প্রভাব তৈরি করা যেন মানুষ বুঝতে পারে যে, আইন লঙ্ঘন করলেই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। সড়কে কেউ যদি উল্টো পথে গাড়ি চালায় কিংবা ফুটপাথ দিয়ে মোটরসাইকেল চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জোর তৎপরতায় রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো ঘটনা অনেকাংশে কমে গেছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এর আগে সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
এসময় সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধিরা, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন, লঞ্চ শ্রমিক সমিতি, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, জিএমপি, বিআইডব্লিউটিএ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাস মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।