বাংলারজমিন
তিস্তা মহাপরিকল্পনায় বিকল্প অর্থায়ন নিয়ে রংপুরে সভা
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবারচীনা অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিকল্প অর্থায়নের উপর গুরুত্বারোপ করে রংপুরে মতবিনিময় সভা হয়েছে। রোববার সকালে রংপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের ব্যানারে ‘প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তাগিদ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। আটকে থাকা তিস্তা মহাপরিকল্পনা নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে। এটি নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা চাই, চীনের সহায়তায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। উত্তরের কৃষি, মৎস্য, পরিবেশ, বাস্তুসংস্থান, দারিদ্র্যতা ও বেকারত্বকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের মতো করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, চীনের স্বল্পমেয়াদি ঋণ, উচ্চহারে সুদ, গ্রেস অব পিরিয়ড কম থাকার চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের বিবেচনা করতে হবে। সেইসঙ্গে চীনের মাধ্যমে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বাস্তবতা আছে কিনা সে জায়গায় প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে জাপান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো ঋণ দাতাদের সঙ্গে কথা এগিয়ে নেয়া উচিত। সেইসঙ্গে যমুনা সেতুর মতো প্রয়োজনে সারচার্জ, বন্ডের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। আমরা তিন বছরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবতা দেখতে চাই।
ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ বাজেট বৈষম্যের শিকার। বিগত দিনে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের দর কষাকষির সুযোগ হারিয়ে ফেলেছি। এখন শুধুমাত্র মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর আমাদের হাতে রয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে তিস্তা পানি নিয়ে দর কষাকষি করতে না পারলে আমরা সর্বশেষ সুযোগ হারাবো। মতবিনিময় সভায় রংপুরে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্র্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক ও রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।