বাংলারজমিন
আমাকে জিম্মিদশায় রাখা হয়নি
সুনামগঞ্জ ও দিরাই প্রতিনিধি
২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
সুনামগঞ্জ-২ দিরাই শাল্লা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আমার পারিবারিক বিষয় অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হয়েছে। আমাকে জিম্মিদশায় রাখা হয়নি। এগুলো অসত্য। সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না বলে যেটা প্রচার হচ্ছে, সেটাও ঠিক না। আমার চিকিৎসা চলছে।আগামীতেও চিকিৎসা হবে। সম্প্রতি নাছির চৌধুরীর সৎভাই মাসুক চৌধুরী ও মিলন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দ্বিতীয় স্ত্রী পারভীন আক্তার। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে নাছির চৌধুরী স্ত্রী ও দুই মেয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, সৎভাইদের জিম্মিদশায় রয়েছেন নাছির চৌধুরী। তাকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। এরই প্রেক্ষিতে রোববার দিরাই পৌর শহরের বাসায় সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন নাছির চৌধুরী। বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে নাছির চৌধুরী জানান, যা হয়েছে আমার চোখের সামনে হয়েছে। ঝগড়া ও কিল-ঘুষির ঘটনা ঘটেছে। তবে একে রংচং দেয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে নাছির চৌধুরী জানান, পারভীন আক্তার তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেছে। নাজিয়া চৌধুরী ও নাদিয়া চৌধুরী তার সন্তান। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আমার মেয়েদের ভালোবাসি। তারাও আমাকে ভালোবাসে। মেয়েরা যদি রাজনীতি করতে চায়, তাতে কোনো আপত্তি নেই’। সংবাদ সম্মেলন শেষে মেয়েদের সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মাসুক চৌধুরী বলেন, আমার বড় ভাই কোন দিন কবে বিয়ে করেছেন তা আমরা জানি না। শুনেছি ওই মহিলাকে নাকি ডিভোর্সও দেয়া হয়েছে। এখন কয়েক দিন পরপর এসে ঝামেলা করে। গত শুক্রবার মধ্য রাতে কথা কাটাকাটি হয়েছে সঠিক। কিন্তু মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছু লোক আমাদের সম্মানহানির জন্য বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়েছে। শুনেছি আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ হয়ে থাকলে পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।
পারভীন আকতার জানান, মেয়েদের পড়াশোনার জন্য তিনি ঢাকার উত্তরায় বসবাস করেন। তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। স্বামীর দেখভালের জন্য গত ১৭ই এপ্রিল রাতে দুই মেয়েকে নিয়ে দিরাইয়ে আসেন তিনি। রাতে দেবর মাসুক ও মিলনসহ কয়েকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। লোহার রড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তাদের। মারধরে তার মাথা, কান, কাঁধসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। দুই মেয়েও গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় তার অসুস্থ স্বামী নাছির চৌধুরী নিজেও পরিস্থিতি দেখে বাধা দিতে চাইলেও কিছুই করতে পারেননি। রাত ২টার দিকে তাদের পিটিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন দুই দেবর। পরে একটি মাদ্রাসায় আশ্রয় নেন তারা।