দেশ বিদেশ
দুদকের মামলা
সাবেক এমপি তুহিন কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুটি মামলায় সাবেক এমপি শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি নীলফামারী-১ আসনের সাবেক এমপি। মঙ্গলবার ঢাকার ২টি বিশেষ জজ আদালত পৃথক আদেশে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিন সকালে তিনি বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে নিয়ে আদালতে আসেন।
শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১৭ বছর পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক কবির উদ্দিন প্রামাণিক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ মামলাতেও তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার চিকিৎসা ও ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এজন্য তাকে এম্বুলেন্সযোগে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন ও চিকিৎসার নির্দেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তার সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি বলে দাবি করেন। আদালতে তুহিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই উচ্চ আদালতে তার জামিন আবেদন করবো। আশা করি উচ্চ আদালতে তিনি বিচার পাবেন। আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, ৮১ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে শাহরিন ইসলামকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাকে ৯২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক ২টি ধারায় আদালত শাহরিন ইসলামকে ৩ বছর এবং ৫ বছর- মোট ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ সময় ২টি ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।