দেশ বিদেশ
জুলাই আন্দোলন দমনে ড্রোন দিয়ে নজরদারি
সিটিটিসি’র সাবেক এডিসি ইশতিয়াক গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবারগণ-অভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সিটিটিসি’র সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইশতিয়াক আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জুলাই আন্দোলন দমনে ড্রোন উড়িয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার অবস্থান শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সরবরাহ করতেন। গত রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত দল ও পুলিশের একটি টিম তাকে রাঙ্গামাটি থেকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ইশতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। তাকে রাঙ্গামাটি থেকে গ্রেপ্তার করে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইশতিয়াক স্বীকার করেছেন যে, তৎকালীন সিটিটিসি প্রধানের সরাসরি নির্দেশে তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিও মুছে ফেলার নির্দেশ এলে তিনি তা পালন করেন বলেও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এসব ড্রোন ফুটেজ গোপন করা এবং তা মুছে ফেলা গুরুতর অপরাধ বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
এ ছাড়াও এডিসি ইশতিয়াকসহ ২ জন সাধারণ নাগরিককে চিহ্নিত করেছেন, যারা ড্রোন পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ওই ২ জন সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত বা অনুমোদিত কেউ না হলেও নিয়মিত ড্রোন ফুটেজ সরবরাহ করতেন। তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এডিসি ইশতিয়াক বেতবুনিয়ায় পুলিশ স্পেশালাইজড ট্রেনিং স্কুলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশের মহাপরিদর্শকের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।