কেরানীগঞ্জে ৪০টি খাল দখল-দূষণে একাকার

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ৫২টি খালের মধ্যে ৪০টি খাল দখল ও দূষণে একাকার হয়ে গেছে। সুভাঢ্যা খাল, চুনকুটিয়া খাল, কালীগঞ্জ খাল, গদারবাগ খাল, রুহিতপুর খাল আটিবাজার খালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। যখন খালগুলো সচল ছিল তখন দু’পাড়ের মানুষ খালের পানি ব্যবহার করতো, নৌকা চলতো। বর্তমানে খালগুলোর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। 
জানা যায়, বিগত সময়ে বিভিন্ন সরকারের আমলে ভূমিদস্যুরা খালে জমি দখল করে মার্কেট এমনকি ঘরবাড়ি করেছে। অনেকে আবার খালের জমি দখল করে মার্কেট করে ভাড়া দিয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব দোকান থেকে মাসিক হারে চাঁদা নেয়া হতো। খালের পাশে অবস্থিত দোকানগুলোতে গরিব মানুষরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছে। তারা জানান, এখন শুধু বিদ্যুৎ দিতে হয়, দোকান ভাড়া দিতে হয় না। তবে কিছু কিছু দোকানদার জানান, এখনো কম-বেশি কিছু চাঁদা দিতে হয়। এদিকে, খালগুলোকে ময়লা দিয়ে ভরাট করায় রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাত্রীরা দুর্গন্ধযুক্ত বাতাসে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। তবে এই দখলকারীরা সব সময়ই থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যে সরকার ক্ষমতায় আসে তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এ ভূমিদস্যুরা তাদের কাজ চালিয়ে যায়। নিজেদের প্রয়োজনে অনেকে আবার খালের ওপর নির্মাণ করেছে ব্যক্তিগত ব্রিজ। এসব ব্রিজের সরকারি কোনো অনুভূতি নেই। এসব খাল পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জের সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র খাল ও সরকারি জমি দখল করেছে। শুধু কেরানীগঞ্জে নয়, পুরো দেশেই এ চক্রটি রয়েছে। খালের পরিবেশ দূষণের জন্য তার কাছে পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট নেই। ঢাকা জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, ঢাকার আশেপাশে ১৯টি খালকে বুলু নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। এই নেটওয়ার্কের মধ্যে কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খালটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।