খেলা
ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত, উপভোগ্য ম্যাচের আশা ছোটনের
স্পোর্টস ডেস্ক
(৭ ঘন্টা আগে) ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ পর্যায়ে এসে সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষই পেলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গতকাল মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। একই দিনে প্রথম সেমিতে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে আগেই ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন মনে করেন ফাইনালে দারুণ একটি ম্যাচ উপভোগ করবে অরুণাচলবাসী।
প্রথম সেমিতে শুক্রবার ভারতের অরুণাচলের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে শেষ দিকের নৈপুণ্যে নেপালকে হারায় টাইগার যুবারা। ৭৩ থেকে ৮০তম মিনিটের মধ্যে জোড়া গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরে নেপাল একটি গোল শোধ দিলেও তা শুধু ব্যবধানই কমায়। একই মাঠে পরের ম্যাচে খেলতে নামে ভারত ও মালদ্বীপ। ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিকদের। দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ভারতীয় যুবারা। মাঠে ফিরে খেলায় ফেরার চেষ্টা করলেও উল্টো আরেকটি গোল হজম করে মালদ্বীপ। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছুক্ষণ খেলা হয় বৃষ্টির মধ্যে। আগামীকাল একই মাঠে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ ও ভারত। টানা তিন জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দল। বাংলাদেশও শিরোপার মঞ্চে এসেছে অপরাজিত থেকেই, তবে তিন ম্যাচে জয় দু’টিতে আর একটি ড্র।
বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতা এ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৮, ১৯ ও ২০ এই তিন ক্যাটাগরিতে হয়েছে। ২০২৪-এ অনূর্ধ্ব-২০ ক্যাটাগরিতে একবারই শিরোপা জেতে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এর দু’বছর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। প্রথমবারের মতো এই ক্যাটাগরিতে তাদের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হারিয়ে শেষটাও রাঙাতে চান টাইগার কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন।
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রুপ পর্বে ভারত-নেপাল ম্যাচ দেখেছিলাম এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করেছিলাম। সেটা আজ ছেলেরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। আশা করি অরুণাচলের দর্শকরা ভালো ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ফাইনাল দেখতে পাবে এবং আমরা জয়ের জন্য মাঠে নামব।’ সেমিফাইনালের আগে পাওয়া চার দিনের বিরতিকে ইতিবাচক বলে মনে করে তিনি যোগ করেন, ‘৯ ও ১১ মে আমরা টানা দুটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলেছিলাম। এটা আমাদের জন্য কষ্ট হলেও সেমিফাইনালের আগে চার দিন সময় পেয়েছিলাম, যেটা কাজে লেগেছে।’ ভারত ম্যাচের আগেই বাংলাদেশ বসের অনুমান ছিল যে শিরোপার লড়াই হবে ভারতের সঙ্গেই। এবং সেটি অরুণাচলের ফুটবল প্রেমীদের জন্য দারুণ এক উপলক্ষ হবে বলে মনে করেন তিনি, ‘সাফ ফুটবলে ভারত অবশ্যই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, ফাইনালে ভারতের আসার সম্ভাবনাই বেশি। আমরা ভারতকে মোকাবেলা করতে চাই। অরুণাচলবাসী বাংলাদেশ-ভারতের একটি ভালো মানের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফাইনাল উপভোগ করতে পারবে।’
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশ কে নতুন করে চিনিয়ে দিন