ঢাকা, ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৮ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

বাংলারজমিন

কেন্দুয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
২ জুলাই ২০২৫, বুধবার

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার নেত্রকোনা জেলা সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম খান নিবন্ধন শাখার মহাপরিদর্শক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগকারী গতকাল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক, নেত্রকোনা জেলা রেজিস্ট্রার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রেস ক্লাবে অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, অভিযোগকারী শফিকুলসহ সাত ভাই-বোন দলিলদাতা হিসেবে গত ২৩শে জুন সকালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যান। যথাযথভাবে সম্পাদনপূর্বক দলিল লেখকের মাধ্যমে তিনটি দলিল সাব-রেজিস্ট্রার বরাবর রেজিস্ট্রি করার জন্য দাখিল করেন। তার দুই বোন বয়স্ক ও অসুস', অভিযোগকারী শফিকুল ইসলামসহ চার ভাই ও এক বোন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মস'ল থেকে ছুটি নিয়ে যান। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য অনুরোধ জানান। সাব-রেজিস্ট্রার বিরক্ত হয়ে তাদের অপেক্ষা করতে বলেন। একপর্যায়ে রেজিস্ট্রি না করেই তার অফিস কক্ষে চলে যান। ফের তাকে বিষয়টি দেখার জন্য বললে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এক কর্মচারীর মাধ্যমে ঘুষ দাবি করেন। তারা সারাদিন অপেক্ষা করার পর সাব-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমানের চাহিদামাফিক ঘুষের টাকা না দেয়ায় তিনটি দলিল রেজিস্ট্রি হয়নি। 
দলিল রেজিস্ট্রি করতে না পেরে ফিরে যান এবং দলিল লেখকের মাধ্যমে জানতে পারেন সাব-রেজিস্ট্রার ২৯শে জুন কেন্দুয়ায় অফিস করবেন। পরে এ ব্যাপারে মো. শফিকুল ইসলাম খান গত ২৫শে জুন নেত্রকোনা জেলা-রেজিস্ট্রার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য ফের ২৯শে জুন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। পরে দলিল লেখক তাদেরকে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের টেবিলে যান। তাদের দেখতে পেয়ে মিজানুর রহমান রাগান্বিত হয়ে দলিল করবেন না বলে জানান। টেবিলে থাকা তিনটি দলিল ছুড়ে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রারের পক্ষ নিয়ে কয়েকজন দলিল লেখক তাদের ওপর চড়াও হন। তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেন।      
এ বিষয়ে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি মোহনগঞ্জের দায়িত্বে আছি। কেন্দুয়ায় আমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। শফিকুল ইসলাম একজন শিক্ষক মানুষ। তিনি ওইদিন অফিসের সময় শেষ হওয়ার পর আবেদন করেন। সেইসঙ্গে আরও ৪০টি দলিলের আবেদন জমা হয়। তার দলিল করলে ওগুলোও করতে হয়। তাকে পরদিন আসার জন্য বলা হয়। কিন' তিনি পরে আর যোগাযোগ করেননি। জেলা রেজিস্ট্রার আবদুল খালেক বলেন, কেন্দুয়ার ভারপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ওইদিন সাব-রেজিস্ট্রার খুব কাজের চাপে ছিলেন। এ কারণে দলিল রেজিস্ট্রি করে দিতে পারেননি।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status