বাংলারজমিন
মানবজমিনে সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তে নেমেছে বনবিভাগ
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
২ জুলাই ২০২৫, বুধবারকক্সবাজারের পেকুয়ায় বন কর্মকর্তার যোগসাজশে ৩০শে হাজার আকাশমনি গাছ কর্তনের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করেছে দৈনিক মানবজমিন। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে বনবিভাগ। চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান বনসংরক্ষক কার্যালয় অফিস আদেশে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-বন সংরক্ষক এম এ হাসানকে। কমিটির সদস্যরা ইতিমধ্যে তদন্তের জন্য মাঠে নেমেছে। সোমবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ পরিদর্শন করেছেন। সাবাড় করা গাছ গণনা করে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা বিট কর্মকর্তাসহ কয়েক জনকে।
সামাজিক বনায়নের কয়েকজন উপকারভোগী বলেন, গাছ সাবাড় করা যে আলামত সেগুলি নষ্ট করার চেষ্টা করছে অভিযুক্তরা। বারবাকিয়া বন বিভাগ কিছু লোক ঠিক করে দেন এবং তাঁরা এই কাটা গাছ গুলো সরকার পতনের পরে কাটছে বলার জন্য তদন্ত কমিটিকে। তদন্ত কমিটি সব জায়গায় যায়নি। এ ছাড়াও যোগীর ছাড়া, দু’ছড়ি, নাপিতার ছড়া, ডেনার ছড়া, বদির জিরি বেশি গাছ সাবাড় করা হয়েছে। এ ছাড়া হারবাং পযন্ত গাছ কাটা হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটিকে অনুরোধ করছি তারা যদি সত্য বের করতে চাই তাহলে ঘটনাস'ল পরিদর্শন করতে হবে। অভিযুক্তরা আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করছে এগুলোও নজর রাখতে হবে। এছাড়া তদন্ত কমিটি পরিদর্শনে গিয়ে কাটা গাছের মুতা উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টৈটং বিট কর্মকর্তা।
তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-বনসংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, আমরা কাল থেকে গাছ কর্তনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আমি গতকাল তক্তার ছড়া পরিদর্শন করেছি। কত গুলো গাছ কর্তন করা হয়েছে এগুলো গণনার জন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা ও আরও কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা যেন গোপন করতে না পারে এ জন্য কিছু ডিভাইস দিয়েছি। গাছ গণনায় যেন ফাঁকিবাজি করতে না পারে। তিন দিন পর আমরা আবারও পরিদর্শন করব। তখন ফাইনালি বলতে পারব।
উল্লেখ্য, গত (২৯জুন) রেঞ্জ কর্মকর্তার যোগসাজশে ৮০হেক্টর বাগান থেকে প্রায় ৩০হাজার আকাশ মনি গাছ কর্তন করে বনদস্যুরা এ ঘটনায় দৈনিক মানবজমিন সংবাদ প্রকাশ করে। এর জের বনবিভাগক তদন্ত কমিটি গঠন করে।