ঢাকা, ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৮ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

বাংলারজমিন

ইবি’র চিকিৎসাকেন্দ্র অফিস সহায়ক দিয়ে চলছে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট, মান নিয়ে শঙ্কা

ইবি প্রতিনিধি
২ জুলাই ২০২৫, বুধবার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম ইউনিট প্যাথলজি বিভাগ। প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করান এখানে। তবে বর্তমানে অফিস সহায়ক ও অনুমোদনহীন অপ্রশিক্ষিত কর্মী দিয়ে এই বিভাগের অধিকাংশই টেস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে পেশাদার নিরীক্ষক ছাড়া তৈরিকৃত এসব টেস্টের মান ও  নির্ভুলতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে সেবা গ্রহীতাদের মনে। চিকিৎসাকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, প্যাথলজি বিভাগে ১২ টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করার ব্যবস'া রয়েছে। আর এই কাজের জন্য নিয়োগকৃত একজন ডাক্তার ও একজন টেকনিক্যাল অফিসারের পাশাপাশি একজন অফিস সহায়ক রাখা হয়েছে। তবে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার কাজ নির্ধারিত ডা. বদিউজ্জামান ও টেকনিক্যাল অফিসার (প্যাথ) ইয়ারুল ইসলাম করার কথা থাকলেও অধিকাংশ সময় তা করে থাকেন অফিস সহায়ক জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও তিন বছর ধরে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই এই বিভাগে কাজ করছেন ঊর্মিলা বেগম। জানা গেছে, ডাক্তার সংকটের কারণে প্যাথলজি বিভাগের অনুমোদিত ডাক্তার মো. বদিউজ্জামানকে অধিকাংশ সময় অন্য বিভাগে কাজ করতে হয়। অন্যদিকে টেকনিক্যাল অফিসার ইয়ারুল ইসলাম শুধু মাইক্রোস্কোপ ও কলোরিমিটারের কাজ করেন। এদিকে তিনি নিয়মিত ফুলটাইম অফিস না করায় প্যাথলজির অধিকাংশ কাজই করেন অফিস সহায়ক ও অননুমোদিত কর্মী। শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্যাথলজিক্যাল টেস্টে নির্ভুলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ এসব রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওষুধ ও চিকিৎসা নির্ধারিত হয়। এদিকে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
অননুমোদিত কর্মী ঊর্মিলা জানান, ২০২২ সালে স'ায়ী কাজের খোঁজে এখানে কাজ শেখার উদ্দেশ্যে আসেন তিনি। কোনো ধরনের বেতন ছাড়া গত তিন বছর ধরে এই বিভাগে কাজ করছেন। প্যাথলজি বিভাগের লেখালেখিসহ বিভিন্ন টেস্ট তিনি ও অফিস সহায়ক করে থাকেন। অফিস সহায়ক জাহাঙ্গীর বলেন, নির্ধারিত ডাক্তার ও টেকনিক্যাল অফিসার সবসময় উপসি'ত থাকতে পারেন না। টেকনিক্যাল অফিসার মাইক্রোস্কোপ ও কলোরিমিটারের কাজ করেন। বাকি কাজগুলো আমাকে করতে হয়।
টেকনিক্যাল অফিসার (প্যাথ) ইয়ারুল ইসলামের ভাষ্য, লোকবল সংকটে কালেকশন ও প্রসেসিং অফিস সহায়ক দিয়ে করা হয়। তারপর রিপোর্টগুলো আমি করি। প্যাথলজির বিষয়ে সহায়ক হিসেবে যতটুকু জ্ঞান দরকার, সেটুকু আমি তাদেরকে শিখিয়েছি। প্যাথলজিস্ট ডা. বদিউজ্জামান স্যারকে অন্য বিভাগে কাজ করানো হচ্ছে। ওনার কি রোগী দেখার কাজ?। এদিকে ডাক্তার মো. বদিউজ্জামান বলেন, ডাক্তার সংকট থাকায় আমাকে অন্য বিভাগেও ডিউটি করতে হয়। জনবল নিয়োগ হলে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, আমাদের দক্ষ লোকবলের জন্য একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন' সমাধান পাইনি। আর বরাদ্দকৃত ডাক্তার ও টেকনিক্যাল অফিসারের উচিত এ বিভাগ সার্বক্ষণিক তদারকি করা, যেমনটি করা হয় চোখ ও দন্ত বিভাগে।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status