প্রবাস
ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ সামিটে গোলাম পরওয়ার
‘বাংলাদেশের ছাত্র-যুবকরা বিশ্বের বুকে উদাহরণ তৈরি করেছে’
অনলাইন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ২৪ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনে ছাত্র-যুবকরা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তরুণ এবং যুব সমাজের গভীর দেশপ্রেম ও চরম সাহসিকতা ফুটে উঠেছে। তারা বিশ্বের বুকে উদাহরণ তৈরি করেছে।’ সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ সামিটে এ কথা বলেন তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফেডারেশন অব স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন (ইফসু) এই সামিটের আয়োজন করে। তিন দিনব্যাপী কনফারেন্সে বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৮টি দেশের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসলিম ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ এ কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন।
কনফারেন্সের প্রথম দিনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষে বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্র-যুবকরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, জালিম শাসক ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কীভাবে বিজয়ী হতে হয়, কীভাবে মুক্তি সংগ্রাম করতে হয়। মূলত ছাত্র-যুবকরাই ছিল এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। তাদের রক্তের বিনিময়েই দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের গণবিপ্লবে রাজনৈতিক দলের একটা ভূমিকা থাকলেও ছাত্র-যুবকদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই এই আন্দোলন সফল হতে পেরেছে। এই পরিবর্তন দুনিয়ার জন্য একটি শিক্ষা। মুসলিম যুবকদেরকে বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা বাড়াতে হবে। এই লক্ষ্যে আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, মিডিয়া, আইটিসহ সকল ক্ষেত্রে মুসলিম তরুণ যুবকদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অর্জিত জ্ঞানের ভিত্তিতে আগামীর বিশ্বকে গড়তে মুসলিম যুবসমাজকে নেতৃত্ব দিতে হবে। মানবরচিত মতবাদ দিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। কেবল ইসলামই দুনিয়ায় শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।’
ইফসু সেক্রেটারি জেনারেল ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, ক্ষমতাসীন একে পার্টির সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইয়াসিন আকতায়, ইফসুর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও সুদানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফেসর ড. মুস্তাফা উসমান ইসমাঈল, তিউনিসিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. রফিক আব্দুস সালাম, পাকিস্তানের রেফাহ ইউনিভার্সিটির রেক্টর প্রফেসর ড. আনিস আহমাদ, আমেরিকান ইকসা প্রেসিডেন্ট ড. মোহসিন আনসারি, তুরষ্কের রেফাহ পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান দোয়ান বেকিন এমপি প্রমুখ।
এছাড়া সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ইউকে সংগঠনের প্রতিনিধি এ ডি এম ইউনুস, তুরস্ক জামায়াতের সভাপতি ও তুরস্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক এবং সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সমন্বয়ক সিবগাতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।