বাংলারজমিন
গলাচিপায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ, বাদীকে হুমকি
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবারগলাচিপায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমির আকার পরিবর্তন করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ফারুক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তবে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় জমি দখলের চেষ্টা এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোলখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী গলাচিপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন- পূর্ব গোলখালীর বাসিন্দা ফারুক মৃধা (৪০), নুর আলম মৃধা (৪৫) ও আবু মৃধা (৫০)। জানা গেছে, মোনতা মোল্লার ছেলে সোবাহান মোল্লার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ফসলি জমিতে গত ১৮ই জানুয়ারি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করেন ফারুক মৃধা ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে জমিতে বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তরা সোবাহানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ রয়েছে। জমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল এবং স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় সোবাহান আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষরা ঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখেন। ভুক্তভোগী সোবাহান মোল্লা বলেন, ফারুক মৃধার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। উচ্চ আদালত আমাদের পক্ষে দু’টি রায় দিয়েছেন। সেখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার নির্দেশও রয়েছে। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করছে এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি গত তিনমাস ধরে নিজের বাড়িতে যেতে পারছি না। অভিযুক্ত ফারুক মৃধা বলেন, স্থানীয় সালিশদার ও পুলিশের দেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ঘর নির্মাণ করেছি। আমরা জমি না পেলে ঘর ভেঙে নিয়ে যাবো এ সিদ্ধান্ত সালিশে দিয়েছে। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।