বাংলারজমিন
লোহাগড়ায় বিএনপি নেতার কব্জি বিচ্ছিন্ন
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবারটি-আর কাবিখার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মিরাজ ফকিরের কব্জি বিচ্ছিন্ন করলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিরাজ ফকির, উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। অপর আহতরা হলেন, তার ভাই ইমরান ফকির, সারুলিয়া গ্রামের আমির খা’র ছেলে কবির খা এবং ইউসুফ শরিফের ছেলে বাবুল শরিফ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কাশিপুর ইউনিয়নে টি-আর কাবিখার প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আওয়ামী দলীয় মনোনীত চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও তার অনুগত মেম্বার ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মিরাজ ফকির ও তার অনুগত নেতা কর্মীরা বেশ কিছু দিন ধরে দর কষা-কষি করে আসছিলেন। ভাগাভাগিতে বনিবনা না হওয়ায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে চেয়ারম্যান মতিয়ারের একান্ত অনুগত ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য রওশন কাজীকে এড়েন্দা বাজার থেকে মিরাজ ফকির সমর্থিত লোকজন ধরে নিয়ে আটকে রাখেন। এমন সংবাদ পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিরাজ ফকিরের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় মিরাজ ফকিরসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মিরাজ ফকিরের ডান হাতের কব্জি ঘটনাস্থলেই বিচ্ছিন্ন করে তারা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর মিরাজ ফকিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিগত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পরে একই দৃর্বৃত্তরা মিরাজ ফকিরকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ডান পা ও বাম হাতের দু’টি আঙ্গুল বিচ্ছন্ন করায় তিনি কৃত্রিম পা সংযোজন করে চলতেন। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশিকুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।