ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

বিয়ানীবাজারে আসামি ধরতে গিয়ে সাব-ইন্সপেক্টর আটক, ছাড়িয়ে নিলেন ওসি

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

সিলেটের বিয়ানীবাজারে জামায়াত নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের বাড়িতে আসামি ধরতে গিয়ে আটক হলেন বিয়ানীবাজার থানার সাব-ইন্সক্টের সৌরভ। ওই সাব-ইন্সক্টেরসহ এক কনস্টেবলকে একটি কক্ষে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। পরে ওসি আশরাফুজ্জামান ও ওসি তদন্ত জুবেদ আলী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি নিয়ে বিয়ানীবাজারে তোলপাড় চলছে।  কেউ কেউ বলছেন; বিষয়টি সাজানো। পুলিশকে আটক করে ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- গত শনিবার বিয়ানীবাজার পৌর শহরের মাঝবাজারে মতিন নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে নয়াগ্রামের জামিল আহমদ। এ ঘটনায় ওইদিন আব্দুল মতিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি জামিল আহমদ ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামে আত্মগোপনে রয়েছে এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে পুলিশের এসআই সৌরভ ও কনেস্টেবল দেলোয়ার অভিযানে যান। আসামি জামিল আহমদ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আবুল খায়েরের কেয়ারটেকার রুবেল আহমদের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে তার কক্ষে বসবাস করতো বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালাতে গেলে আবুল খায়ের তাদের বাধা দেন। বিনা অনুমতিতে তার বাড়িতে অভিযান কেন করা হবে সেটিও জানতে চান। একপর্যায়ে তিনি এলাকাবাসীকে সংঘবদ্ধ করে এসআই সৌরভ ও কনস্টেবল দেলোয়ারকে মারধর করেন এবং একটি কক্ষে আটকে রেখে ওসি আশরাফুজ্জামানকে ফোন দেন। তার ফোন পেয়ে প্রথমে পোশাকি একদল পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠালে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের আটক দুই পুলিশ সদস্যকে ছাড়েননি। রাতে ওসি আশরাফুজ্জামান ও ওসি তদন্ত জুবেদ আলী গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা আবুল খায়ের পুলিশ সদস্যকে আটকের কথা স্বীকার করলেও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তিনি মানবজমিনকে জানিয়েছেন- অভিযানের সময় তিনি বিয়ানীবাজারে ছিলেন। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখেন হুলস্থুল কাণ্ড। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ দলের পরিচয় নিশ্চিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এসআই সৌরভ তার সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন। একপর্যায়ে তিনি বিয়ানীবাজার থানার ওসিকে ফোন করে সত্যতা জানেন। নিরাপত্তার স্বার্থে দুই পুলিশ সদস্যকে তার কক্ষে নিরাপদে রাখেন। তিনি বলেন- ওসি গিয়ে উপস্থিত লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে সাব-ইন্সপেক্টর সৌরভ ও কনস্টেবলকে থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ওসি আশরাফুজ্জামান মানবজমিনকে জানিয়েছেন- সাদা পোশাকে আসামি ধরতে যাওয়ায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে আমরা গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন- যে আসামিকে ধরতে পুলিশ টিম গিয়েছিল সেখানে তারা ওই আসামিকে পেয়ে যায়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে পরবর্তীতে ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে সাজানো হয় এবং পুলিশ দলকে আটকে রাখা হয়েছিল। অভিযানের সময় এক পুলিশ সদস্যর গায়ে পুলিশের একটি জ্যাকেট পড়া ছিল। ফলে তাদের চিনতে কারও অসুবিধা হয়নি।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status