প্রেমের অভিনয়ে প্রতারণা, ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

নাটোরে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের দায়ে মেহেদী হাসান নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। আসামি মেহেদী গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা পাঠানপাড়া গ্রামের আবদুর রহিম শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপসি'ত ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, আসামি মেহেদীর বিরুদ্ধে ঘটনার তারিখ ও সময়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে আসামিকে যাবজ্জীবন ও জরিমানা করা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩০শে জানুয়ারি গভীর রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার এক স্কুলছাত্রী (১৪)কে ফোন করে বাড়ির বাইরে ডেকে নেন মেহেদী। পরে বাঁশঝাড়ের ভেতরে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যান। স্বজনরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিনই ভুক্তভোগীর বাবা গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২২ সালের ১৪ই নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলার সরকারি কৌঁসুলি আবদুল কাদের বলেন, গত সোমবার মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে জামিনে থাকা আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। আজ রায় ঘোষণা করে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।