বাংলারজমিন
শরণখোলা বিএনপির কাউন্সিল
আঞ্জুমান আরার প্রার্থিতা বাতিলের দাবি
শরণখোলা প্রতিনিধি
৬ জুলাই ২০২৫, রবিবারশরণখোলা উপজেলা বিএনপির আসন্ন দ্বিবার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ এর ত্রুটিপূর্ণ কাউন্সিলর তালিকা বাতিল করে ত্যাগি কর্মীদের নিয়ে তালিকা পুনর্গঠন ও বহিষ্কৃত নেতা খান মতিয়ার রহমানের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা আলোর প্রাথমিক সদস্য পদ ও সভাপতি পদে প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর চিঠি দিয়েছেন শরণখোলা বিএনপির নেতারা। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে এ চিঠি দেন তারা। চিঠিতে তারা বলেন, শরণখোলা উপজেলা বিএনপির আসন্ন দ্বিবার্ষিক উপজেলা কাউন্সিল-২০২৫ নিয়ে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে দলের ভিতরে ছদ্দবেশী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর প্রত্যক্ষ সহযোগীরা। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ২০২৪ এর অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে উপজেলা বিএনপি থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত খান মতিউর রহমান নিজে এবং তার পরিবার সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীতে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির একজন উপজেলা আহ্বায়ক হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তার সাথে প্রকাশ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্তর পক্ষে প্রকাশ্যে আনারস প্রতিকের নির্বাচন করে উপজেলা নির্বাচনকে সফল প্রমাণিত করার চেষ্টা করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ সরাসরি উপেক্ষা করেন। সার্বিক পর্যালোচনায় এই ক্ষমতালোভী খান মতিউর রহমানকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইতিমধ্যে দল বহিষ্কার করে এবং প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করেন। চিঠিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, গত ৫ই আগস্টের পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীকে নিজ বাড়িতে আশ্রায় দিয়ে নিরপদে পলায়নের সুযোগ করে দিয়েছেন এই দোসররা। খান মতিউর রহমানের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রধান সহযোগী তার সহধর্মিনী আনজুমান আরা আলো। অর্থের বিনিময়ে আঞ্জুমান আরা আলো মানুষের বাড়িঘরদখল সহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার কারণে ইতিমধ্যে থানায় সাধারণ ডায়েরি সহ সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। খান মতিউর রহমান দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরে বিএনপির দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। সর্বশেষে নিজে বহিষ্কৃত হওয়ার পরেও প্রকাশ্য সভায় উপজেলা বিএনপির দ্বি বার্ষিক কাউন্সিলে অনৈতিকভাবে সহধর্মিনী আঞ্জুমানারা আলোকে সভাপতি, চাঁদাবাজ বিল্লাল হোসেন মিলন ও কর্মীশূন্য শামিম হাসান বাদলকে নিয়ে প্যানেল ঘোষণা করে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশে উপজেলা বিএনপি ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং বিপক্ষ প্রার্থীদের হুমকি দিয়েছেন যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। একজন বহিষ্কৃত নেতার ঘোষিত প্যানেলকে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থিতা যোগ্য ঘোষণা করা আমাদেরকে হতাশ করেছে। আমরা লক্ষ করেছি ঘোষিত কাউন্সিলর তালিকায় অনেক সুবিধাবাদি ও আওয়ামী লীগ কর্মী রয়েছে যা বাতিল করে ত্যাগি কর্মীদের তালিকাভুক্ত করা অতি জরুরি। তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে বহিষ্কৃত ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সহযোগী নেতার সাথে কর্মকান্ড করা অনৈতিক এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি সেখানে ওনার ঘোষিত প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য কিছু বিপথগামী নেতাকর্মী মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সঙ্গত উল্লেখ্য খান মতিউর রহমানের স্ত্রী কখনোই কোন আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন নাই এমনকি কোনদিনও তিনি প্রাথমিক সদস্য ছিলেন না। কোন প্রকার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও অনৈতিক পথে এই আঞ্জুমানারা আলমকে প্রাথমিক সদস্য করা হয় যা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী। অবিলম্বে ত্রুটিপূর্ণ কাউন্সিলর তালিকা বাতিল করে ত্যাগি কর্মীদের নিয়ে তালিকা পুনর্গঠন ও বহিষ্কৃত নেতা খান মতিয়ার রহমানের স্ত্রী ্য অঞ্জুমান আরা আলোর প্রাথমিক সদস্য পদ ও সভাপতি পদে প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন শরণখোলা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ডা. শফিকুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক মোল্লা ইসাহাক আলী, সাবেক আহবায়ক ফজলুল হক তালুকদার।