ঢাকা, ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৯ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

বাংলারজমিন

দেনমোহর কমাতে অভিনব কৌশল

তালাকের পর আবার বিয়ে, কিছুই জানে না গৃহবধূ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার

নাটোরের গুরুদাসপুরে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহরই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে গৃহবধূ ইতি খাতুনের। জানা যায়, গত বছরের ২৬শে ডিসেম্বর চাঁচকৈড় কাচারিপাড়া মহল্লার সবজি বিক্রেতা জালাল উদ্দিনের ছেলে নাইমুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় ইতির। বিয়েতে দেনমোহর পাঁচ লাখ টাকা ধার্য করা হয়। কিন্তু ছেলেপক্ষ পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহর দেড় লাখ টাকা করতে ভুয়া তালাক এবং দ্বিতীয় বিয়ের কাগজ তৈরির নাটক করেন বলে জানা যায়। গৃহবধূ ইতি (১৯) উপজেলার মশিন্দা শিকারপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক আফাজ প্রামাণিকের মেয়ে। ইতির মামা আব্দুল বারী বলেন, বিয়ের কয়েকদিন পরেই ইতির শাশুড়ি নিলুফা বেগম তাদের কাছ থেকে জরুরি প্রয়োজন দেখিয়ে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। এরপর জুয়েল ও তার মা স্থানীয় আব্দুল লতিফ কাজীর যোগসাজশে গত ২২শে জানুয়ারি গোপনে ভুয়া তালাকনামা তৈরি করেন। আবার ওই কাজীকে দিয়ে একই কায়দায় ১৫ই মার্চ ইতি ও জুয়েলের দ্বিতীয় বিয়ের নিকাহনামা তৈরি করানো হয়। মোহরানার টাকা আত্মসাৎ করতেই ইতির সঙ্গে প্রতারণা করে তার স্বামী-শাশুড়ি। ইতির বাবা আফাজ উদ্দিন বলেন, স্বামী-শাশুড়ির সঙ্গে ইতির কোনো দ্বন্দ্ব নেই। শুধু ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করতে এবং ৫ লাখ টাকার দেনমোহর দেড় লাখ টাকা করতে ওই ভুয়া তালাক এবং দ্বিতীয় বিয়ের কাগজ তৈরির নাটক করেন তারা। ভুক্তভোগী ইতি বলেন, তালাক ও দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে আমি ও আমার বাবা-মা কেউ জানতো না। শুধু কোরআন শিক্ষা দেয়ার নামে একবার রঙিন কাগজে স্বাক্ষর নেন আমার শাশুড়ি। দ্বিতীয় বিয়ের ভুয়া কাগজ করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। এফিডেভিট কাগজপত্রও তৈরি করেছেন। এরপর আমাকে কৌশলে বাপের বাড়িতে তাড়িয়ে দেন শাশুড়ি। জানা যায়, সম্প্রতি এসব ঘটনা জানাজানি হলে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দেন ইতির বাবা। এ নিয়ে সালিশ দরবারও হয়। অভিযুক্ত জুয়েল ও তার মা দুই লাখ টাকায় মীমাংসার প্রস্তাব দিলে ইতির পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে। ইতির শাশুড়ি বলেন, আমার ছেলে রাগের মাথায় ইতিকে ২২শে জানুয়ারি তালাক দিলেও ১৫ই মার্চ তারা পুনরায় বিয়ে করে। প্রথম বিয়েতে পাঁচ লাখ টাকা কাবিন থাকলেও দ্বিতীয় বিয়েতে দেড় লাখ টাকা মোহরানা কেন জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি। মশিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, তালাক দেয়ার কোনো কাগজ পাইনি। কাগজ ইউনিয়ন পরিষদে কেন আসেনি সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কাজীকে নোটিশ করা হবে। কাজী আব্দুল লতিফ জানান, তালাক এবং বিয়ের ঘটনা সত্য। আগে পিছে কী হয়েছে, তা আমার দেখার বিষয় না।
 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

দেনমোহর কমাতে অভিনব কৌশল/ তালাকের পর আবার বিয়ে, কিছুই জানে না গৃহবধূ

১০

মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা/ মোবাইল চোরকে সহযোগিতা করাই কাল হলো

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status