দেশ বিদেশ
শ্রমবাজার নিয়ে মালয়েশিয়াকিনির মিসলিডিং বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিক্রিয়া
স্টাফ রিপোর্টার, মালয়েশিয়া থেকে
৬ জুলাই ২০২৫, রবিবারবাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ চুক্তি (এমওইউ) সংশোধন ইস্যুতে মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ভুল ব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তিকর শিরোনাম নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুর থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে জানা গেছে, গত ৩রা জুলাই প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ হুমকি দিয়েছে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করবে, যদি মালয়েশিয়া চুক্তির পরিবর্তন না করে’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়াকে এমওইউ পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছে এবং না করলে কর্মী পাঠানো বন্ধ করে দেবে- যা হাইকমিশনের মতে, পুরোপুরি অসত্য, ভ্রান্ত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হাইকমিশন জানিয়েছে, এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ২রা জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘জাপানের শ্রমবাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে ড. নজরুল কেবল বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চুক্তির কাঠামো বিশ্লেষণ করে বলেন, বর্তমান এমওইউ অনুযায়ী রিক্রুটিং এজেন্সি বাছাইয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ মালয়েশিয়ার হাতে রয়েছে এবং দেশে ক্রমবর্ধমানভাবে দাবি উঠছে যাতে সব এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়। তবে তিনি কোথাও মালয়েশিয়াকে হুমকি দেননি বা চুক্তি পরিবর্তন না করলে ‘শ্রমিক পাঠানো বন্ধ’ করা হবে- এমন কোনো মন্তব্য করেননি। আজ হাইকমিশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে আরও স্পষ্ট করেছে যে, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে গভীর, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থাভিত্তিক। এই সম্পর্কের অন্যতম স্তম্ভ হলো অভিবাসন খাতে সহযোগিতা। বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন, এবং এই প্রক্রিয়াকে আরও ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও বৈষম্যহীন করতে দুই দেশই কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন মনে করে, এমন বিকৃত তথ্যসংবলিত ও মনগড়া সংবাদ প্রতিবেদন শুধুমাত্র দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে না, বরং অভিবাসন সংলাপের ইতিবাচক ধারাকেও ব্যাহত করে। এই প্রেক্ষাপটে তারা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্বার্থে এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময়ই সংলাপ, বোঝাপড়া ও সমন্বয়ের পথেই বিশ্বাসী। বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশন সকল সংশ্লিষ্ট মহলকে বাস্তবতাভিত্তিক তথ্য ও গঠনমূলক আলোচনার ওপর জোর দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।