দেশ বিদেশ
কলেজে খালেদা জিয়াকে নিয়ে ছাত্রীর ব্যঙ্গাত্মক অভিনয়, প্রতিবাদে উত্তাল কক্সবাজার
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবারকক্সবাজার সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ ইভেন্টে এক ছাত্রী খালেদা জিয়াকে নকল করে অভিনয় করার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটলেও কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে এখনো অনড় রয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে বিতর্কিত মন্তব্য করে অপসারণ দাবি করেছেন। তার অনুসারী নেতাকর্মীরা শহরে বিশালাকারে মিছিল করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা ছাত্রদলের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ সোলাইমানের পদত্যাগ দাবি করা হয়। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মিছিল সমাবেশ করেছে বিএনপি ও ছাত্রদল। জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, এই ছাত্রীর নাম ঠিকানা, কোন বিভাগের ছাত্রী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সভাপতি বা আহ্বায়ক বা সদস্য সচিবের নাম কারও জানা থাকলে আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আগামী রোববার এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের দাবি, মিমিক্রির বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলার সময় তার ধরন ব্যঙ্গাত্মক ছিল। তাৎক্ষণিক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান, একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘মিমিক্রিটি ব্যঙ্গাত্মক দাবি করে ওই ছাত্রীর অংশগ্রহণ বাতিল করতে বলেন শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রীকে প্রতিযোগী তালিকা থেকে বাতিল করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ সোলাইমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়- ‘ওই প্রতিযোগীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিযোগিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষের কক্ষে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হলো।’ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আতাহার সাকিব বলেন, ‘তবে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি উঠায় পরবর্তীতে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন সে এটি নিছক একটি অভিনয় ছিল বলেই দাবি করেন এবং বেগম জিয়ার বিভিন্ন বক্তব্যের ইউটিউব লিংক দেখান। যেখান থেকে সে স্ক্রিপ্ট তৈরি করেছেন।’ তারপরও অভিনয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারায় সে ওই মুহূর্তে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানান সাকিব। ওই ছাত্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।