বাংলারজমিন
পরিবর্তন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নাম
কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবারটাঙ্গাইলে কালিহাতী উপজেলায় যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার। তবে, দেশের এই দীর্ঘতম রেল সেতুর নাম কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধনের আগেই নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্বোধনের প্রথম বছর ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে ক্রসিংয়ের সমস্যা হবে না, ফলে সময় সাশ্রয় হবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুটির নাম পরিবর্তনের জন্য উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। সেতুটি আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধনের আগেই নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও সেতুর নতুন নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, মূল রেল সেতুর কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ। চলতি বছরের আগামী ডিসেম্বর নাগাদ ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে দিনরাত কাজ চলছে। সেতুটি ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৬শে নভেম্বর) উদ্বোধনী ট্রায়াল ট্রেন চলাচল করেছে। ট্রায়াল ট্রেনের শুরুতে ঘণ্টায় গতি ছিল ১০ কিলোমিটার, পরের বার ঘণ্টায় ট্রেনের গতি ছিল ২০ এবং ৪০ কিলোমিটার।
সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দেশের দীর্ঘতম এই স্বতন্ত্র রেল সেতু দিয়ে বিরতিহীনভাবে কমপক্ষে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে সেতু পারাপার হতে পারবে। ফলে সেতু পারাপারে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় বাঁচবে। নির্মাণাধীন রেল সেতুতে সাধারণ ট্রেন ছাড়াও দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হয়। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে। বর্তমানে রেল জাদুঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত না হওয়ায় হাজার কোটি টাকার অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে।
"নাম না জানা সেতু" রাখা হউক
পূর্বের নামের সমস্যা কোথায়।তোমরা নতুন একটা তৈরি করে নতুন নাম দাও।
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রেল সেতু নামকরণ করা হোক।
যমুনা রেল সেতু
শ্রদ্ধেয় মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামে এ সেতুটির নামকরণ করা যেতে পারে।
Shahid Abu Sayeed Rail Setu
যমুনা নদীর সেতুর নাম " যমুনা রেল সেতু " ই করা হোক।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নামে মওলানা ভাসানী রেল সেতু নাম করন করা হোক।
মাওলানা ভাসানী রেল সেতু
যমুনা রেল সেতু নামকরণ করা হোক।
যমুনা রেল সেতু হলে দোষ কি?
Jamuna rail bridge . Nam rakha hok
যমুনা রেল সেতু নামকরণ করা হোক।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নামে মওলানা ভাসানী রেল সেতু নাম করন করা হোক। টাঙ্গাইল মওলানা ভাসানীর স্মৃতি বিজরিত জেলা।