বাংলারজমিন
নিয়ন্ত্রণহীন চালের বাজার নেপথ্যে কী?
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
চালের অন্যতম উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সেখানেও চালের বাজার অস্থির। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানের উৎপাদন। টানা বৃষ্টিতে চালের উৎপাদনও ব্যাহত। এছাড়াও চালের দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে চালকল মালিকদের কারসাজি। অটো রাইস মিলগুলো বিভিন্ন বড় বড় মোকাম থেকে শত শত টন ধান মজুত করছে। এ কারণে বেড়েই চলেছে ধানের দাম। এর প্রভাব পড়েছে চালের দামে। গরিবের মোটা চালও কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। বাজার মনিটরিংয়ে প্রশাসনের উদ্যোগ না থাকায় চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। পাইকারি ও খুচরা দুই বাজারেই হু হু করে বাড়ছে দাম।
চালের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলছেন, বাজারে চালের সংকট নেই, অথচ দাম বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ জরুরি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে জানা গেছে, ঈদের পর থেকেই বাজারে খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ আট টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সেই দাম এখন পর্যন্ত আর কমেনি। উচ্চমূল্যেই সেই দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল এখন ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে চালের কেজি ছিল ৭৮-৮০ টাকা। এছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা ৫৮-৬০ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ জাতের চাল ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বাবলু, অটোরাইস মিল মালিকদের অবৈধ মজুতের কারণে বাজারে ধানের দাম বাড়ছে। ধানের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। এছাড়াও টানা বৃষ্টির কারণে চলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। নিউমার্কেটের মুদি দোকানদার জিয়াউর রহমান বলেন, গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিপ্রতি ছয় থেকে আট টাকা বেড়েছে। আর মোটা ও মাঝারি চালের কেজিতে বেড়েছে ছয়-আট টাকা। তার দাবি, ভরা মৌসুমে এভাবে চালের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। এরপরও বাজারে চালের দাম বাড়ছে। মিল মালিকরা পারস্পরিক যোগসাজশে অবৈধ মজুত করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এই ব্যবসায়ী।