বাংলারজমিন
স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক খালুর দুই চোখ তুলে নিলো ভাগ্নে
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার
যশোরে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির দুই চোখ তুলে ফেলেছে তার ভাগ্নে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বকচর করিম তেল পাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত শহিদুলকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর পরই যশোর ডিবি পুলিশের একটি টিম ঝটিকা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে আটক করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে আটককৃত আসামি সাদ্দামকে নিয়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় যশোরের পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে বলেন, পরকীয়ার জন্যই সাদ্দাম তার খালু শহিদুলের চোখ উপড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম শহিদুল, আসামি সাদ্দাম হোসেনের আপন খালু। সাদ্দাম পেশায় ট্রাক ড্রাইভার এবং খালু শহিদুল কৃষক। আসামি দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করছিল তার ১ম স্ত্রী প্রিয়া খাতুনের সঙ্গে তার খালুর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এদিকে তার খালু মাঝে মাঝেই বলে প্রিয়ার জিনের ভর রয়েছে। আর জিন তাড়ানোর কথা বলে ঘরের মধ্যে একাকী প্রিয়া ও শহিদুল দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় সাদ্দাম তার লোকজন নিয়ে ঘরের বাইরে অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত হয় যে, জিনের কথা বলে সে শারীরিক সম্পর্ক করে। সম্প্রতি সাদ্দাম তাদের আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করলেও লোকলজ্জার ভয়ে সে সময় কাউকে কিছু বলেনি।
এ ঘটনার জেরে ধরেই গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহিদুলকে বকচর করিম পাম্পের সামনের রাস্তায় একা পেয়ে সাদ্দাম তার ওপর হামলা চালিয়ে তার দুই চোখ চাকু দিয়ে তুলে ফেলে। এ বিষয়ে যশোরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুপার নূর-ই-আলম জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে জড়িত সাদ্দামকে আটক করতে পারায় প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু করছে।
পাঠকের মতামত
এক পক্ষীয় বিচার হয়ে গেছে , দরকার ছিল শহীদুল ও পিয়া দুজনের চোক উপড়ে পেলা। তবে একটি ন্যায় বিচারের দিকে যাচ্ছে দেশ,এটাই আসার আলো। আমাদের সোনার আদালত কি বলল না বলল তাতে কিছুই আসে যায় না। ন্যায় বিচার নিশ্চিত হওয়াটাই জরুরী।
শয়তান বাঁধা! রমযানে এতো শয়তান আসলো কোত্থেকে!
পাঠকের মতামত একন্তই তার ব্যক্তিগত এ জন্য সম্পাদক দায়ী নহে। তবুও মন্তব্য প্রকাশ করা হয় না। কাকে কি বলবো বুঝতে পারছি না।
এখানে সবচেয়ে বেশি অপরাধী প্রিয়া অর্থাৎ সাদ্দামের স্ত্রী। একজন নারী যদি পর পরুষকে চান্স না দেয় তবে সে কখনোই সে নারীর কাছে ঘেষতে পারবে না। অবশ্যই সেই নারীর চরিত্রে সমস্যা আছে বিধায় সাদ্দামের উচিত ছিল আগে তার স্ত্রীর বিচার করার। কারণ তার স্ত্রী শহিদুলকে সুযোগ দিয়েছে। এসব কিছুর জন্য দায়ী ইসলাম, দ্বীন, শরিয়ত, হাদিস, কুরআন সম্পর্কে অজ্ঞতা। যদি সদ্দাম কৌশল করে প্রথম থেকেই তার স্ত্রীকে বুঝিয়ে.... বুঝিয়ে.... সংশোধন করতে পারতো তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না এবং যদি তার স্ত্রী সেই রাস্তা থেকে ফেরত না আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাহলে তাকে তালাক দেওয়াই শ্রেয়। কারো চোখ তুলে ফেলে সমস্যার সমাধান করা যায়নি বরং সমস্যা আরও বেড়েছে। এজন্য আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করে দ্বিনের জ্ঞানকে বেশি বেশি প্রচার প্রসার ঘটিয়ে সমাজ থেকে এগুলো দুর করা সম্ভব হবে। আসুন আমরা সবাই ইসলামের দেওয়া পথকে অনুসরন করি। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুক, আমিন।
কানা শহিদুলকে খোঁজা করে প্রিয়ার সাথে বিয়ে দেওয়া হউক, এটা হল তাদের উচিত বিচার এবং সাদ্দামকে মুক্তি দেওয়া হউক।
কানা শহিদুলকে খোঁজা করে প্রিয়ার সাথে বিয়ে দেওয়া হউক, এটা হল তাদের উচিত বিচার এবং সাদ্দামকে মুক্তি দেওয়া হউক। সাদ্দাম মুক্ত জীবনে তার 'স্ত্রীর অপকর্মের ফল ও শহিদুলের ব্যর্থ পরুষ' এটা তার জীবনের শান্তুনা হিসেবে দেখবে।
আল্লাহ রমজান মাসে শয়তানকে নাকি শিকলে বন্দী করে রেখেছে। তাহলে এইসব শয়তানি করে কে?
সাদ্দাম অপরাধী হলে দোষী কে? আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে কিন্তু শহীদুল বা সাদ্দামের স্ত্রীদের কি আইন সঠিক সাজা দিতে পারে?
খালু সত্যিই এই কাজ করে থাকলে তার যথোপযুক্ত বিচার হয়ে গেছে, বউয়ের অো বিচার প্রয়োজন, কারন সেও দোষী।