বাংলারজমিন
নাসিরনগরে শিশু অপহরণকারী সেই নারী ফের আটক
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২৬ মে ২০২৫, সোমবারব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ঘর থেকে স্বর্ণালংকার চুরি ও ৯ মাস বয়সী এক শিশুকে অপহরণের চেষ্টাকালে সালমা বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছেন স'ানীয় জনতা। একই ঘটনায় গত পাঁচ মাস পূর্বে একই উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে আটক হয়েছিল এই নারী। উপজেলার কুলিকুণ্ডা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় গতকাল বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে স'ানীয় মায়েদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স'ানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আটক সালমা বেগমের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা। তিনি এর আগেও অপহরণের ঘটনায় এই উপজেলায় একাধিকবার আটক হয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, পেটের দায়ে করছি। কোনো কাজ নাই। স্বামী মারা গেছে, ছোট দুইটা মেয়ে আছে, তাই এসব করি। স'ানীয়রা বলেন, গত ১৫ দিন ধরে কুলিকুণ্ডা গ্রামের কুলিকুণ্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘুরাঘুরি করছিল সালমা বেগম। কখনো স্কুলের টিউবওয়েলে পানি পান করতে কিংবা আশপাশের বাড়িতে কাজ চাইতে, ভিক্ষা করতে গিয়ে চারপাশ পর্যবেক্ষণ করতেন। গ্রামের অনেকেই তাকে সন্দেহের চোখে দেখলেও হাতেনাতে ধরা না পড়ায় কেউ কিছু বলছিলেন না।
রোববার দুপুরে দাঁতমণ্ডল আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শাহিন মিয়ার স্ত্রী তাদের ৯ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে ঘরে ঘুম পাড়িয়ে পাশের রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তার শিশু সন্তানের কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে বসতঘরে গিয়ে দেখতে পান তার বাচ্চাকে কোলে করে একজন নারী পালিয়ে যাচ্ছে। তারপর তিনিও চিৎকার দিলে স'ানীয়রা দৌড়ে এসে বাড়ির পাশে ওই নারীকে আটক করেন। শাহিন ভূঁইয়া বলেন, কয়েক মুহূর্ত দেরি হলে আর আমার মেয়েকে খুঁজেই পেতাম না। ওর উদ্দেশ্য কি ছিল বুঝতে বাকি নেই।
বুড়িশ্বর ইউনিয়নের গোলাম জিলানী বলেন, আমাদের ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে পাঁচ মাস পূর্বে এক শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সে জনতার হাতে আটক হয়। পরে স'ানীয়রা গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। এর আগেও সে একই ঘটনায় ধরা খেয়েছে বলে ফেসবুকে ভিডিও দেখেছি। নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস'লে পুলিশ গিয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।