দেশ বিদেশ
আদালতে কাঁদলেন পলক
স্টাফ রিপোর্টার
১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবারবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখায়। গ্রেপ্তার দেখানো অন্য আসামিরা হলেন- আমীর হোসেন আমু, ডা. দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান। এরমধ্যে মনিরুল ইসলাম মনুকে আট মামলায়, আনিসুল হক, আবুল হাসান, জাহাঙ্গীর আলম, পলক, শহীদুল হককে দুই মামলায়, সালমান, দীপু মনি ও আমুকে এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে পলককে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন পলক। আনিসুল, সালমান ও দীপু মনি যখন কাঠগড়ায় নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন, তখন পলক আদালতের বারান্দার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সেখানে তার একজন স্বজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। পলক ইশারায় কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে পলক কাঁদতে থাকেন।
হাত দিয়ে চোখের পানি মুছতে থাকেন। এরপর পলক মাথা নিচু করে মুখভার করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকেন। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শেষ হলে তাদের প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেয় পুলিশ। এ বিষয়ে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, জুনাইদ আহমেদ পলককে আজ (গতকাল) যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আনা হয়। এদিন আদালতে এসে তিনি খবর পান যে, তার এলাকার কিছু লোক মারা গেছে। এজন্য তিনি শোকাহত হন এবং কাঁদতে থাকেন।