দেশ বিদেশ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মে ২০২৫, সোমবারঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রোববার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মানবজমিনকে বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির আলোচনা হয়েছে। ১৫/২০ মিনিট সময় বৈঠক হয়েছে।
গতকাল রোববারই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে এসেছেন প্রধান বিচারপতি। গত ১৭ই মে থেকে ২৪শে মে প্রধান বিচারপতি ও আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে দুটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেন। যার মূল লক্ষ্য ছিল ন্যায়বিচার, সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও নিরাময় প্রক্রিয়ার ওপর অভিজ্ঞতা বিনিময়। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও কমনওয়েলথ সচিবালয়ের যৌথ সহায়তায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ-পরবর্তী সময়ে সত্য অনুসন্ধান, বিচার কার্যক্রম এবং স্মৃতির সংরক্ষণ সম্পর্কিত বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কার্যকর পন্থাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়।
ঢাকার ইউএনডিপি অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এ আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের মতবিনিময় হয় ভুক্তভোগী, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ, ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের সাবেক কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে। এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের এ সময়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া জোরদারকরণের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, আমাদের বিচারিক সংস্কার রোডম্যাপ বা পরিকল্পনা রূপরেখা অন্যান্য সব সংস্কারের ভিত্তিমূল। এরইমধ্যে বিচারব্যবস্থার রূপান্তর শুরু হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ ও রূপান্তর চলাকালীন ন্যায়বিচার পদ্ধতি কীভাবে জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে তা নিয়ে আজকের এ গভীর আলোচনা ও চিন্তাভাবনা আমাদের সংস্কার পরিকল্পনা গঠনে আরও সহায়ক হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাংবিধানিক আদালতে এক বৈঠকে দেশটির প্রধান বিচারপতি মান্ডিসা মুরিয়েল লিন্ডেলওয়া মায়া বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষা এবং আইনের শাসন শক্তিশালী করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। আর মানবাধিকার কমিশনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় জোর দেয়া হয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং অতীতের অন্যায়-অবিচার পুনরাবৃত্তি রোধে নিরাময় প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।