দেশ বিদেশ
শিল্পকারখানা গলা টিপে মেরে ফেলা হচ্ছে, বেতন অনিশ্চিত- বিটিএমএ সভাপতি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৬ মে ২০২৫, সোমবারবস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেছেন, ‘শিল্পবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিল্পকারখানা গলা টিপে মেরে ফেলা হচ্ছে। গ্যাস সংকটে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। চলতি মূলধন সংকুচিত হয়েছে। আগামী ঈদে কারখানাগুলো বেতনভাতা দিতে পারবে কিনা, সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রোববার ঢাকার গুলশান ক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই), ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি), প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ) যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ১৯৭১ সালে খুঁজে খুঁজে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। ২০২৫ সালে শুধু শিল্প নয়, শিল্পোদ্যোক্তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে। এটাকে আমরা ষড়যন্ত্র মনে করি। শিল্প বাঁচাতে না পারলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সংকটের কারণে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা জানি না, সামনে কোরবানির ঈদে কীভাবে শ্রমিকদের বোনাস ও বেতন দেবো। আমি মনে করি, এটি আমাদের শিল্পের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। অথচ আমরা গ্যাস বিল, ব্যাংকের কিস্তি সবই দিচ্ছি। বিটিএমএ সভাপতি আরও বলেন, এখন শিল্পে প্রতিদিন লে-অফ হচ্ছে। মানুষ কয়েকদিন পর রাস্তায় নামবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। যদি শিল্পকে এই জ্বালানি সংকট থেকে বাঁচানো না যায়, তাহলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। তিনি ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের হার নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, সুদের হার অনেক বেশি। কেন? কারণ, যারা টাকা লুট করেছে, তাদের খেসারত দিচ্ছি আমরা।
বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে গেছে। গ্যাস সংকটের কারণে ৬০ শতাংশের বেশি উৎপাদন হচ্ছে না কারখানায়। তিন মাস সুদ না দিলেই ঋণখেলাপি করছে ব্যাংক। আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন পরিশোধের ধমক দিচ্ছে সরকার।