দেশ বিদেশ
ইভিএম ক্রয়ে অনিয়ম, ইসি’র তিন কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
স্টাফ রিপোর্টার
৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবারবিগত সরকার নির্বাচনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)’র মাধ্যমে রাষ্ট্রের তিন হাজার কোটি টাকার বেশি নষ্ট করেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রাজধানীর সেগুন বাগিচায় স্থাপিত সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াৎ তাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
দুদকের তলবে হাজির হন নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব ফরহাদ হোসেন, সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার ও ওই সময়ের সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। এদিন সবমিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের ছয়জনকে তলব করা হয়।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি আর্থিক বিধিবিধান লঙ্ঘন করে টেন্ডার ব্যতীত বাজারমূল্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে দেড় লাখ ইভিএম ক্রয় করা হয়। এতে সরকারের প্রায় তিন হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতি সাধনের অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের অনুসন্ধানে নির্বাচন কমিশনের দুদকের তদন্তে মিলেছে সত্যতা।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নূরুল হুদার সময় তিন হাজার ৮২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ইভিএম প্রকল্প চালু করে নির্বাচন কমিশন। মেশিনগুলোর জীবনকাল কমপক্ষে ১০ বছর ধরা হলেও তার আগেই নষ্ট হয় বেশির ভাগ যন্ত্র। পট পরিবর্তনের পর ইভিএম প্রকল্পের বাস্তবচিত্র দেখতে জানুয়ারিতে অভিযানে যায় দুদক। অভিযানে মেলে, অধিকাংশ মেশিন নিম্নমানের ও অকার্যকর। হদিস মেলেনি কমপক্ষে ১০৬টি মেশিনের। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের তৎকালীন টেকনিক্যাল শাখার কর্মরত তিন কর্মকর্তাকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের দাবি- ইভিএম ক্রয়ে যে অর্থ খরচ করা হয়েছিল, সেই অর্থে আরও ভালো মানের মেশিন কেনা সম্ভব ছিল।
পাঠকের মতামত
ইন্ডিয়া থেকে আনলে এরকমই হবে