দেশ বিদেশ
ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনো দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবারপতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এখনো দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা জেলাধীন দোহার উপজেলার অন্তর্গত নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হারুন মাস্টারকে ফজরের নামাজের পর দুর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। এই অমানবিক, লোমহর্ষক, পৈশাচিক, ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। হারুন মাস্টারকে ফজরের নামাজের পর দুষ্কৃতকারী কর্তৃক গুলি করে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় প্রমাণ হয় যে, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এখনো দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আর এ কারণেই জনগণসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, হারুন মাস্টারকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুলি করে নির্মমভাকে হত্যা করার ঘটনা সেটিরই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। সন্ত্রাসীদের দমনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে হবে। নইলে সন্ত্রাসীদের দাপটে দেশ আবারো অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তাহলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
ফখরুল বলেন, হারুন মাস্টারকে হত্যাকারী দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
অপর এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুষ্কৃতকারীরা গত সোমবার ভোলায় চাঁদার দাবিতে স্বামীকে ব্যাপক মারধর ও স্ত্রীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার ন্যক্কারজনক ও কাপুরোষিত ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। ভোলায় নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, দুষ্কৃৃতকারীদের দ্বারা সংঘটিত এ ধরনের বর্বরোচিত ও পশুর চেয়েও হিংস্রতায় গোটা দেশের মানুষ হতভম্ব। নারীর ওপর ধারাবাহিক এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় দেশের নারী সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হস্তে দমনের কোনো বিকল্প নেই।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয় বলেই নারীর ওপর এ ধরনের বর্বর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। ভোলায় নারীকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের আমি অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।