দেশ বিদেশ
যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ মে ২০২৫, রবিবার
যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার সিরিয়ার ওপর আরোপিত সব ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে, যা একটি বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এই পদক্ষেপ নেয়া হলো এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন বিনিয়োগের পথ উন্মুক্ত হলো। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, সিরিয়াকে এখন একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল দেশে পরিণত হওয়ার পথে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আজকের (শুক্রবার) পদক্ষেপ দেশটিকে একটি উজ্জ্বল, সমৃদ্ধ এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে আমরা আশা করি। এই পদক্ষেপটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হলো প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ঘোষিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় ট্রাম্প হঠাৎ করে ঘোষণা করেন, তিনি ‘নৃশংস ও পঙ্গু করে দেয়া’ আসাদ যুগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছেন। এটি ছিল তুরস্ক ও সৌদি আরবের অনুরোধে নেয়া পদক্ষেপ। ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সিরিয়ার নতুন সরকারের জন্য প্রযোজ্য, শর্তসাপেক্ষে যে তারা জঙ্গি সংগঠনগুলোকে আশ্রয় দেবে না এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। একইসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ছাড়পত্র জারি করেছে, যার মাধ্যমে বিদেশি মিত্র ও অংশীদারদের সিরিয়ার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো দেশটিতে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। এই অনুমোদনের আওতায় রয়েছে- সিরিয়ায় নতুন বিনিয়োগ, আর্থিক সেবা প্রদান, সিরিয়ান পেট্রোলিয়াম পণ্যের সঙ্গে লেনদেন, সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে ব্যবসা এবং পূর্বে নিষিদ্ধ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ১৪ বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধ চলাকালে দেশটির বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং ঘোষণা করে যে, বাশার আল-আসাদ ক্ষমতায় থাকলে কেউ যদি পুনর্গঠনে অংশ নেয়, তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত বছর ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন একটি অভিযানে আসাদ সরকার পতনের পর, সিরিয়ার নতুন সরকার পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে এবং দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে।